স্টাফ রিপোর্টার:: কোম্পানীগঞ্জের ৫নং উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের বিজয় পাড়ুয়া গ্রামের (বাগান মহল্লার) বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আলমাছ আলী নি:সন্তান অবস্থায় মারা গেলেও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সুকৌশলে আপন ভাগনী ফজরুন নেছা কে মেয়ে সাজিয়ে সম্মানী ভাতা আত্মসাৎ করছেন কথিত ভাগনী জামাই কাকুরাইলের মদরিছ আলীর ছেলে চাঁন মিয়া ওরফে কালা মিয়া। বীরমুক্তিযোদ্ধার আপন বোন একই ইউনিয়নের উত্তর মাঝেরগাও গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার স্ত্রী আস্তুরা বেগম (৭০) মৃত ভাইয়ের মুক্তিভাতা পাওয়ার জন্য বার বার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েও কার্যকর প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগ। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমাছ আলী ও তার আপন ভ্রাতা খুরশিদ আলী। আলমাছ আলী ও খুরশিদ আলী উভয়ই নি:সন্তান অবস্থায় মারা যান। রেখে যান তার আপন বোন আস্তুরা বেগমকে। মৃত মুক্তিযোদ্ধার উত্তরাধিকারী হিসাবে একমাত্র বোন আস্তুরা বেগমই ভাইয়ের সম্মানী ভাতা পাওয়ার হকদার কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা অফিসের অসৎ মুক্তিযোদ্ধার প্ররোচনায় জাল জালিয়াতির মাধ্যমে আস্তুরা বেগমের দুই কন্যার মধ্যে এক কন্যা ফজরুন নেছা কে মুক্তিযোদ্ধা আলমাছ আলীর মেয়ে সাজিয়ে সম্মানী ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধার আপন বোন আস্তুরা বেগম। আস্তুরা বেগম এর দুই কন্যা আছরবি বেগম ও ফজিরুন নেছা ও দুই ছেলে মকবুল আলী ও মখলিছ আলী। বৃদ্ধ আস্তুরা বেগম মেয়ে আছরবি বেগমকে সাথে নিয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত ভাই আলমাছ আলীর রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা বন্ধের জন্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করলেও কোন প্রতিকার মিলেনি। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হলে ঐ তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হয়েই পকেট তদন্তের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে মিথ্যা রিপোর্ট উপস্থান করে আসছেন।
ভুক্তভোগী আস্তুরা বেগম জানান,কাকুরাইল গ্রামের চাঁন মিয়া ওরফে কালা মিয়া আমার ছোট মেয়ে ফজরুন নেছা কে ফুসলিয়ে তার বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং আমার অজান্তে আমার মেয়েকে বিয়ে করে তার বাড়ীতে রেখে দেয়। পরে আমার মেয়েকে আমার মৃত ভাইয়ের কন্যা সাজিয়ে ভুয়া কাগজাদি সৃষ্টি করে ভাইয়ের মুক্তিভাতা থেকে আমাকে বঞ্চিত করে দীর্ঘ বছর ধরে আত্মসাৎ করে আসছে। আমি এর ন্যায় বিচার চাই। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, আস্তুরা বেগমের ছোট মেয়ে ফজরুন নেছা কে নি:সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমাছ আলীর কন্যা সাজিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে সরকারী অর্থ আত্মসাত করে আসছে চাঁন মিয়া ওরফে কালা মিয়া।
এ ব্যাপারে চাঁন মিয়া ওরফে কালা মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তাহার মোবাইলে ফোন দিলে সে বলে আমার সকল ডকুমেন্টস আছে আস্তুরা বেগম আমার শাশুড়ি নয়। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোনীত তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মতিন জানান, আস্তুরা বেগমের অভিযোগখানা পেয়েছি এবং উভয় পক্ষকে নোটিশ করে শুনানীর আয়োজন করা হবে এবং অভিযোগকারীনি আস্তুরা বেগমের গ্রামের আশপাশের কিছু সাধারন মানুষের বক্তব্য নেয়ার পাশাপাশি তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে সঠিক তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করা হবে।