নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিসিকের পলাতক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের সময় চলছে নিয়োগ বানিজ্য। সেই নিয়োগ বাণিজ্যের সময় অনেক অসহায় মানুষ চাকুরী নামক সোনার হরিণ ধরতে ধার দেনা করে চাকুরীর আশায় বিভিন্নজনকে টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ঐ সময় সাজলু লস্কর ছিলেন পাবলিক রিলেশন অফিসার। তিনি সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জড়িয়ে পরেন নিয়োগ বাণিজ্যে, আর এ সময় তার ঘনিষ্ট সহযোগী ছিলেন শংকর নামের একব্যক্তি। এই দুজন নিয়োগের নামে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। তবে টাকা নিলেও বেশীরভাগই চাকুরী পেয়েছেন, তাদের দেখানো পথে সিসিকর আরো অনেকে কর্মচারী চাকুরী দেওয়ার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নিলেও তারা কাউকে চাকুরী দিতে পারেন নাই। চাকুরী দিতে না পারলে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা, অথচ টাকা ফেরত না দিয়ে বিগত ১ বছর যাবৎ দেই দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপন করছেন।
এমনি একটি ঘটনার তথ্য এসেছে সময় টিভি বাংলা’র হাতে, সময় টিভি বাংলা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সিসিকর পানি শাখার অপারেটর জহির নগরীর ঘাসিটুলা মোকাবাড়ী সালেহ মিয়ার ভাড়াটিয়া লাকী বেগমকে সিসিকে চাকুরী দেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা অগ্রীম নিয়েছেন। চাকুরী হলে আরো ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু ২০ হাজার টাকা নেওয়ার এক বছর হলেও চাকুরী দিতে পারছেননা। আবার টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে বিচার সালিশ হলেও সমাধান হচ্ছেনা। ভুক্তভোগী রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা রংমিস্ত্রি কামাল মিয়ার স্ত্রী। তারা দীর্ঘদিন থেকে সিলেটে বসবাস করছেন।
চাকুরী দাতা জহির এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন ঘটনা ঠিক আছে, আমার দাদী মারা গেছেন আমি গ্রামের বাড়ীতে আসছি ৩/৪ দিন পর আসবো, আসার পর বেতন তুলে টাকা দিয়ে দিবো। চাকুরী দেওয়ার এখতিয়ার তোমার আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন নাই। তাহলে টাকা কেন নিয়েছেন জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যপারে কর্মচারী সমিতির সভাপতি মাসুক মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন বিষয়টি আমি জানি সমাধান করার জন্য তাকে বলেছি, কিন্তু আমার সাথে কয়েকবার তারিখ করে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপন করে, টাকা দেয়না। এখন সে বাড়ী থেকে আসার পর যদি টাকা না দেয় তাহলে সমিতির পক্ষ থেকে তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।