নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নোমান আহত হওয়ার অভিযোগ থানা থেকে গায়েব হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার সুত্রে জানা যায় শুক্রবার ৯ মে বিকাল ৩.০০ ঘটিকার সময় প্রতিদিনের মতো কামরান নোমান তাহার মোটর বাইক নিয়ে সাধুর বাজার যমুনা ডিপোর কাছে যাওয়া মাত্র চিহ্নিত ছিনতাইকারী গালকাটা শিপলু, মোটর সাইকেল চোর ফয়েজসহ ৩/৪ জন তাহার মোটর বাইকের গতিরোধ করে নোমানের সাথে থাকা ২ লক্ষ টাকা নিতে চেষ্টা করে একপর্যায়ে তাকে এলোপাতাড়ি উপযুপুরি ছুরিকাঘাত করে টাকা ও মোবাইল নিয়ে নোমানকে সুরমা নদীতে ফেলে দেয়। এই ঘটনার পর গত ১৫ মে দক্ষিণ সুরমা থানায় নোমান বাদী হয়ে শিপলু ও ফয়েজকে বিবাদী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি ডিউটি অফিসারকে দিয়ে আসেন। কিন্তু আজ থানায় গিয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান এর সাথে দেখা করে মামলা রেকর্ড হয়েছে কিনা জানতে চান, তখন ওসি সাহেব জানান তিনি কোন অভিযোগ পাননি। এরপর খোঁজ নিয়ে থানায় অভিযোগ না পেয়ে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী ছিনতাইকারীরা পুলিশের সাথে হাত মিলিয়ে অভিযোগটি গায়েব করে দিয়েছে। এই দায় ওসি সাহেব এড়িয়ে যেতে পারেননা। ঘটনার দিন ওসি সাহেব সাংবাদিকদের বলেছিলেন বিষয়টি আভ্যন্তরীন। ছিনতাইয়ের বিষয়টি তিমি অস্বীকার করেন। এছাড়াও গত ৮ মে রাত সাড়ে ১১.০০ ঘটিকায় সিগনাল অমান্য করায় সিএনজি চালক ফজলুকে ৪ জন যাত্রীসহ আটক করলেও ২ জন যাত্রীকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং একজন শ্রমিক নেতার মাধ্যমে ওসি সাহেবকে উৎকুচ দিলে পরদিন সকালে সিএনজি চালককে ছেড়ে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু তিনি ঐ গরীব সিএনজি চালককে খোজারখলা পুলিশ বক্স ভাংচুর, লুটপাট অগ্নিসংযোগ মামলায় আসামী করে আদালতে সোপর্দ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইতিমধ্যে ২১ মে বুধবার মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগে শাহপরান থানার কল্লগ্রাম থেকে স্থানীয় জনতা হাতেনাতে ফয়েজকে আটক করে শাহপরান থানায় হস্তান্তর করেন।