ইব্রাহিম খান ইমন ,ওসমানীনগর প্রতিনিধি:: সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক নির্মল চন্দ্র ধর রুনু ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতলে ১৬ মে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের পুরকায়স্ত পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
গতকাল শুক্রবার ছিল মৃতের আত্মার শান্তি কামনায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। আত্মীয় স্বজন অনেকেই এসছেন বাড়িতে। শুক্রবারে অনুষ্ঠানের সকল আয়োজনও সমাপ্ত করেছেন রুনু ধররে ছোট ছেলে পরিতুষ ধর পাপ্পু। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করে আকস্মিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ের পরিতুষ ধর পাপ্পুও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন পাপ্পু। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে নিজ বাড়িতে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ের তিনি। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতলে নিয়ে যান। সেখান থেকে সিলেট জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপালে নিয়ে গেলে রাত ১ টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক পাপ্পুকে মৃত ঘোষণা করেন। পিতার মৃত্যুর ১৫ দিনের মাতায় পুত্রের অকাল মৃত্যুতে পরিবারসহ পুরো গ্রামে নেয়ে এসছে শোকের ছায়া।
স্থানীয়রা জানান, পুরকায়স্তপাড়া গ্রামের শিক্ষক রুনু ধর ছিলেন অত্যান্ত মেধাবী। বেশ সুনামের সাথে শিক্ষগতা জীবন থেকে অবসর নেন তিনি। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন নিজের ৫ সন্তানকেও। বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত ছিলেন ছোট ছেলে পরিতুষ ধর পাপ্পু। পিতা অসুস্তরার খবরে ছুটে আসেন সিলেটের একটি হাসপাতালে। রুনু ধরের শারীরীক অবস্থার অবনতি হলে ১৩ মে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে। সেখানে দুই দিন চিকিৎসারত অবস্থায় ১৬ মে ৬৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন তিনি। ১৭ মে পরিতুষ ধর পাপ্পু পিতার লাশ নিয়ে আসেন সাবেক কর্মক্ষেত্র গেয়ালাবাজার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাবেক শিক্ষার্থীও সহকর্মীরা। রুনু ধরের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত সহকর্মীরাও। পরে নিজ বাড়িতে শিক্ষক ও প্রবীণ রাজনীতিবীদ রুনু ধরের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। প্রবীণ লেখক ও শিক্ষকের মৃত্যুতে মাণোত্তর সম্মাননা দেন সাবকে, বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমাজ ও সামাজিক একাধিক সংগঠন। বুধবারও এমন একাধিক অনুষ্টানে অংশ নিয়ে পরিতুষ ধর পাপ্পু পিতার সম্মননা বয়ে আনেন বাড়িতে। শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে করে পিতার আত্মার শান্তি কমনায় শুক্রবার বাড়িতে ছিল ভোগরাগ অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠান আর হলো না। অনুষ্ঠানের দিনই নিজরে দেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে পরিতুষের। মাত্র ১৫ দিনের ব্যাবধানে একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে পরিবারের শোকের ছায়া নেমে এসছে। বাকরুদ্ধ পরিবারের সদস্যরাও। আত্মীয় স্বজনরাও শেষ বারের মতো এক পলক দেখে নিলেন তাকে।