নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটে ছাত্রদল যুবদলের নাম ভাঙ্গিয়ে ভারতীয় চিনিসহ অবৈধ চোরাই পণ্যে পাচারের নিয়ন্ত্রণ এখন চিনি কান্ডে আটককৃতদের হাতে। তাদের শেল্টারে অবৈধ চোরাই পণ্যে পাচারের নিরাপদ রোড হয়েছে তামাবিল-সিলেট মহাসড়ক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর ভারতীয় অবৈধ চোরাই পণ্যে পাচারের নিয়ন্ত্রণ নেয় ছাত্রদল- যুবদল নামধারী কিছু চাঁদাবাজ। এসব বিষয় বিএনপির নজরে আসলে তারা হার্ডলাইনে দলীয়কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে কয়েকজন নেতাকর্মীকে বহিস্কার করে। এরপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হলেও এখন আবারো বেপরোয়া। তবে যারা বেপরোয়া হয়েছে তারা এর আগে চোরাই চিনি কান্ডে আটক হয়ে জেল কেটে জামিনে বেরিয়েছেন।
সচেতন মহলের দাবী পবিত্র ঈদুল আজহা অর্থ্যাৎ কোরবানীর ঈদকে কেন্দ্র করে গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা
এলাকা চোরাইমাল ভর্তি গাড়ী নিরাপদ পৌঁছে দিতে ভ্যানগাড়র্ডের ভূমিকা পালন করছে খাদিমপাড়া ইউনিয়নের কানুগুল গ্রামের সুফিয়ান আহমেদ, জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল এলাকার অঞ্জন রায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কলিম উদ্দিন ও জৈন্তাপুরের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি এলাকার মৃত লুৎফুর রহমানের ছেলে মো. আলাউদ্দিন। এর মধ্যে সুফিয়ান আহমদ সিলেট সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রুফিয়ান আহমেদ সবুজের ভাই।
উল্লেখ্য গত ২৮ সেপ্টেম্বর "সিলেটে চোরাই চিনির দুই বড় চালান জব্দ, ছাত্রদল নেতার ভাইসহ আ ট ক ৪ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো। যাহা নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো।
সিলেটের শাহপরাণ থানার বটেশ্বর এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে ভারতীয় চোরাই চিনির দুটি বড় চালান জব্দ করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।
এই দুই চালান জব্দকালে আটককৃতরা হলেন- খাদিমপাড়া ইউনিয়নের কানুগুল গ্রামের সুফিয়ান আহমেদ, জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল এলাকার অঞ্জন রায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কলিম উদ্দিন ও জৈন্তাপুরের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি এলাকার মৃত লুৎফুর রহমানের ছেলে মো. আলাউদ্দিন। এর মধ্যে সুফিয়ান আহমদ সিলেট সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রুফিয়ান আহমেদ সবুজের ভাই।
এ চারজনকে মামলা দায়েরপূর্বক শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহপরাণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য।
পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে গোপান সংবাদের ভিত্তিতে শাহপরাণ থানাপুলিশের একটি দল বটেশ্বর বাজারের পান্না মার্কেটে তামাম বস্ত্রালয়ে অভিযান চালিয়ে প্যাকেটজাত করার সময় ৫০ বস্তায় মোট ২ হাজার দুইশত ষাট কেজি ভারতীয় চিনি উদ্ধার করে। যার আনুমানিক বাজার মুল্য দুই লক্ষ একাত্তর হাজার দুইশত টাকা। এসময় ছাত্রদল নেতা রুফিয়ানের ভাই সুফিয়ান, অঞ্জন রায় ও কলিম উদ্দিনকে আটক করা হয়।
এর আগে শুক্রবার ভোররাতে একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ৯০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করে থানাপুলিশ। এসময় আলাউদ্দিনকে আটক করা হয়। তবে এ চালানের সঙ্গে থাকা ছাত্রদল নেতা সুফিয়ান ও ট্রাকচালক কামরুল ইসলাম পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশ জানায়। পুলিশ বলছে- এই দুই চালানের সঙ্গে জড়িত মূল হোতাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে তারা।
৫ আগস্টের আগে চিনিসহ সকল চোরাই পণ্যের সঙ্গে জড়িত ছিলো সিলেট আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। হাসিনা সরকার পতনের পর সচেতন সিলেটবাসী মনে করেছিলেন- এবার এ অবৈধ কারবার বন্ধ হবে। কিন্তু হয়নি। অভিযোগ রয়েছে- হাতবদল হয়ে এবার চিনিসহ সকল চোরাই পণ্যের কারবার চলে এসেছে সিলেটের কতিপয় যুবদল-ছাত্রদল নেতার হাতে। তবে বিষয়টি নিয়ে হার্ড লাইনে বিএনপি ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর হাই কমান্ড। শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ইতোমধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবেনা বলে পরিষ্কার বক্তব্য বিএনপির।
এদিকে, এক সাক্ষাৎকারে তৎকালীন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার জাকির হোসেন খান (পিপিএম- সেবা) বলেছিলেন যে, চোরাচালান পণ্যের সঙ্গে শুধু বাহকরা ধরা পড়ে, মূল হোতারা থেকে যায় অন্তরালে। তবে সিলেটে আর এমনটি হবে না। সিলেট মহানগর এলাকায় চোরাই পণ্য জব্দের সব মামলার তদন্তকালে পুলিশ চোরাচালানের গডফাদারদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর।
প্রকাশক: মিসেস মোর্শেদা হাসান, সম্পাদক : কল্লোল পাল সর্দার, প্রধান সম্পাদক : ইমরান হাসনাত জুম্মান(ইউকে প্রবাসী) ,
সহ-সম্পাদক: মো: আল-আমীন, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট।, মোবাইল: ০১৬০৭৮৯৭৭৯৪
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত