নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের ঐতিহ্যেবাহী সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট কাজির বাজার। ৬ জুন শুক্রবার বিকালে একটি কোরবানির পশু ক্রয় নিয়ে শুরু হয় দন্ধ। এক পর্যায়ে ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে উচ্চশুরে কথার্বাতা হয়, একদিকে বিক্রেতা ফোন দিয়ে নিজ এলাকা থেকে ২শত লোক আসার কথা বলেন, অন্যদিকে ক্রেতা, ফোন করে কয়েকশ লোক আসার কথা বলছেন। বিষয়টি শুনে বুঝার জন্য সাংবাদিক হুমায়ুন কবির এগিয়ে আসেন। তিনি অনুধাবন করেন বাজারে একটা বিশৃংলা তৈরি হলে বাজার কর্তৃপক্ষের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে। পরে তিনি উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার কথা বলে কাজির বাজারের মালিক আফসর সাহেবের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে আপুষ মিমাংসার চেষ্টা করেন। এসময় তাহার সাথে ছিলেন দৈনিক হাওরাঞ্চলের কথা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং গ্লোবাল টেলিভিশন সিলেট ব্যুরোচীফ মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন তালুকদার ও সিলেট সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান জুলহাস। তাদের ঐকান্তিক ২ ঘন্টার চেষ্টায় অবশেষে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরতিহীন আলোচনায় আপুষ মিমাংসায় উপনীত হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ৫ জুন সুলতান মিয়া নামের একব্যক্তি কাজিরবাজার পশুর হাট থেকে ২ লক্ষ টাকা দাম সাব্যস্ত করে একটি কালো রঙের গরু কিনেন একজন খামারীর কাছ থেকে। তিনি গরু কিনে ২০ হাজার টাকা বায়না করে রশীদ সংগ্রহ করেন। গরুটি ৬ তারিখ নিবেন বলে খামারীর কাছে রেখে যান। ৬ জুন দুপুরে গরু নিতে এসে বলেন নিবেননা। কেন নিবেননা জানতে চাইলে তিনি বলেন উনার এলাকার এক মুফতি সাহেব ফতোয়া দিয়েছেন যে বনগরু খাওয়া হালাল কিন্তু কোরবানি দেওয়া যাবেনা। এরপর তিনি গরুটি নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে শুরু হয় দন্ধ। এক পর্যায়ে ৯৯৯ ফোন করে পুলিশকেও আনা হয়। পরবতীতে বিকল্প আরেকটি লাল গরুর বিনিময়ে সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে বিষয়টি সমাধান হয়। কিন্তু টাকা লেনদেন করতে গিয়ে আবার পূর্বের গরু নিয়েই ক্রেতা সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে যান।