এম এ এইচ শাহীন(স্টাফ রিপোর্টার)::সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২নং পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের জনদূর্ভোগপুর্ণ বেহাল দশা,একটু বৃষ্টিপাত হলেই যে রাস্তা দিয়ে বন্যায় ভেসে যায়। বুঝা যায় না এখানে রাস্তা আছে কিনা। পানি আর ভাঙা গর্তে ভরপুর এই রাস্তা দিয়ে চলাচল প্রায় ৮টি গ্রামের মানুষজনের জীবনপুর, চাড়ালকাউরি,২নং রাধানগর,চন্দ্রনগর, আলিনগর, মাঝেরহাটি, মুজিবনগর,চলাচলে রাস্তা বেহাল দশা একটু বৃষ্টি হলে কাদা পানির কারণে ভোগান্তির শেষ নেই। প্রতিদিন প্রায় হাজারো মানুষের প্রদচারণা এবং স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিশুদের স্কুল বালুচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ও কলাবাড়ী মখজনুল উলুম মাদ্রাসা, মহিলা মাদ্রাসা সব মিলিয়ে এই রাস্তা ছাত্রছাত্রীদের চলাচলের একমাত্র নিরাপদ রাস্তা এটি। পাকিস্তান আমলের এই একমাত্র নিরাপদ রাস্তাটি যেন দেখার কেউ নেই এলাকাবাসীর দাবি কোন জনপ্রতিনিধির নজর পড়েনি প্রায় পাকিস্তান আমলের রাস্তাটি অবহেলা অযত্নে হারাতে চলেছে তার ঐতিহ্য। যুগের সমস্যায় পরিণত হচ্ছে অভিযোগ বর্ষার সময়ে প্রায় দুই কিলোমিটার এ রাস্তায় চলাচলকারী জনসাধারণের দাবি।
ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর আলম কোন খোঁজ খবর নেন না। স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে জামাল উদ্দিন,আক্কাস আলী,জমির আলী, আব্দুল লতিফ,সোহরাব আলী,আব্দুল মজিদ, ইদ্রিস আলী, তাহাদের অভিযোগ বর্তমান চেয়ারম্যান কে আমাদের এলাকায় দেখাই যায় না। ভোটের সময় তিনি এসেছিলেন আর আসেন নি। এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত আসা- যাওয়া করা সোহরাব আলী, জানান চলাফেরা করতে পারি না। মজিদ মিয়া জানান রাস্তায় গর্ত কাদা পানি থাকার কারণে পা পিছলে যে কোন অঙ্গহানি ঘটা সময়ের ব্যাপার। এ রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী জীবনপুর,সরিন্দ্রনাথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হযরত আলী জানান,একটু বৃষ্টি হলেই কাদা পানি ট্রলি গাড়ি চলাচলের রাস্তার অবস্থা করুন হয়ে যায়।তিনি আরো বলেন বাড়িঘরে পানি সব রাস্তার উপর দিয়ে যাওয়ার কারণে এ সকল সমস্যা হচ্ছে
খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বলতে গেলে রাস্তার কোন পরিচয়ই নেই। এদিকে পুরান বালুচর জামে মসজিদের কমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদের বাড়ির সামনে বিরাট গর্ত সৃষ্টি হওয়ার কারণে এলাকার বয়স্ক,মুরব্বি,মসজিদে আসা-যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে মুসল্লিদের জন্য। সমাজকর্মী নাজিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন এই রাস্তাটি জরুরি ভিত্তিতে উন্নয়ন করা প্রয়োজন আমাদের এলাকার জনসাধারণ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য কাজল সিং বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের গত বাজেটে আমি রাস্তাটি প্রসঙ্গে চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। পুরাতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কলাবাড়ি মাদ্রাসায় কোমলমতি শিশুরা প্রতিদিন আসা যাওয়া করে একটু বৃষ্টি হলে রাস্তাটি ভাসমান ও তলিয়ে যায় পানিতে এর ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।পুরাতন বালুচর রাস্তাটির বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো.মাহবুব আলম শাওন ভূঞা, এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন রাস্তাটির জন্য আপনারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর
একটি লিখিত আবেদন দিন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলে ও তিনি আশ্বস্ত করেন।