নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার স্কুলছাত্রী নাফিসা জান্নাত আনজুম হ”ত্যা”কা”ণ্ডে’র ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়! মাত্র ১৮ ঘণ্টার মধ্যে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ রহস্য উদঘাটন করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করেছে।
সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো, আসামি নিজেই ছিল ঘটনাস্থলে পুলিশের তদন্তকালে।
প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তদন্তের সময় সে নির্লিপ্তভাবে পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। অথচ পরে সেই ব্যক্তিকেই তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তৎপরতায় শনাক্ত করে আটক করা হয়।
দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যাচ্ছে, গ্রেফতারের পর পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামি।
তৃতীয় ছবিতে রয়েছে উদ্ধারকৃত আলামত স্কুল ব্যাগ, চাদর ও স্যান্ডেল, যা মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজ করছে।
মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের এই দ্রুত পদক্ষেপ ও পেশাদার তদন্ত এলাকায় প্রশংসা ও আস্থা অর্জন করেছে। পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন পিপিএম, বলেন অপরাধীরা আইনের হাত থেকে কখনোই রক্ষা পায় না এটি আবারও প্রমাণিত হলো।
জবানবন্দিতে খুনি জুনেল জানায়, সে দীর্ঘদিন ধরে আনজুমকে লক্ষ্য করছিল এবং তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাচ্ছিলো। ১২ জুন সকালে প্রাইভেট শেষে বাসায় ফেরার পথে জুনেল তার পথরোধ করে। আনজুম তা এড়িয়ে যেতে চাইলে জুনেল পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে এবং চিৎকার করলে গলা চেপে ধরে। এতে আনজুম অচেতন হয়ে পড়লে তাকে পাশের ঝোপে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থলের আশপাশে আনজুমের বোরখা, জুতা ও স্কুলব্যাগ ফেলে দেয়। তার দেখানো মতে পুলিশ কিরিম শাহ মাজারসংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানের পাশ থেকে ভিকটিমের বোরখা উদ্ধার করে।
নাফিসা জান্নাত আনজুম-আর এই পৃথীবিতে ফিরে আসবেনা, তবে ন্যায় বিচারের মাধ্যমে তাহা আত্মা হয়তো শান্তি পাবে।
জনগণের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় পুলিশ বিভাগ সদা সচেষ্ট এই ঘটনাই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।