স্টাফ রিপোর্টার:: সিলেটে ফজরের পর চায়ের দোকান খোলায় গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধাকে বেপরোয়া এসআই ডেবিল জসিমের মারধর, ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি।
সিলেটের লামাবাজার এলাকায় ফজরের নামাজের পর চায়ের দোকান খোলার কারণে একজন গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বেপরোয়া এসআই ডেবিল জসিমের বিরুদ্ধে।
আহত ওই ব্যক্তি আন্দোলনের সময় আহত হয়ে বর্তমানে সিএনজি চালাতে না পেরে জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি ছোট চায়ের দোকান চালান।
প্রতিদিনের মতো আজ ফজরের পর দোকান খুললে বেপরোয়া এসআই জসিম এসে “এতো সকালে দোকান খোলা কেন” জানতে চেয়ে তাকে মারধর শুরু করেন। জোর করে ভ্যানে তুলতে গেলে আহত ব্যক্তি জানান, “আমি একজন গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা।
আন্দোলনে আহত হওয়ার পর দীর্ঘসময় বসে থাকতে পারি না, তাই এই দোকান দিয়েছি। আমাকে জেলে দিলে পরিবার না খেয়ে মরবে। এরপরই সুর পাল্টিয়ে বিগত সরকারের দালাল এসআই জসিম জবাবে বলেন, “তুই যোদ্ধা! তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস”—এই বলে কিল, ঘুষি, থাপ্পড় মারতে মারতে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সঙ্গে থাকা এক কনস্টেবলের হস্তক্ষেপে এসআই জসিম ও অন্যান্য পুলিশ সদস্য তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যান। বর্তমানে আহত ব্যক্তি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন,সিলেট জেলা কমিটি এবং জুলাই যোদ্ধাদের সহযোদ্ধারা। অনতিবিলম্ব এসআই জসিম ও কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এব্যপারে বেপরোয়া এসআই জসিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেস্টা করলে তাহার মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকাশ বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রকাশক: মিসেস মোর্শেদা হাসান, সম্পাদক : কল্লোল পাল সর্দার, প্রধান সম্পাদক : ইমরান হাসনাত জুম্মান(ইউকে প্রবাসী) ,
সহ-সম্পাদক: মো: আল-আমীন, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট।, মোবাইল: ০১৬০৭৮৯৭৭৯৪
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত