নিজস্ব প্রতিবেদক:: কাল্পনিক ও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করায় ৫ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেছেন সাংবাদিক হুমায়ুন কবির। গত ২৪ জুন সিলেট মহানগর জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় আসামী করা হয়েছে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন মিয়া, উপজেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইসামাইল হোসেন সরশ, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ডা: লোকমান মিয়া, বিরাট গ্রামের শফিক মিয়ার পুত্র বারাম মিয়া, মকসুদ আলীর পুত্র ছক্কত আলী, মিন্নত আলীর পুত্র জাবেদ মিয়া, মৃত গৌছ আলীর পুত্র মফিজুল রহমান মফিজ।
মামলার বিবরণে জানা যায় , গেলো ৮ মে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বিরাট গ্রামের সন্ত্রাসীদের দ্বারা ৮টি বাড়ীঘর ভাংচুর লুটপাট অগ্নিসংযোগ ও মারপিট করা হয়। এই লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়। এদিকে, ব্যবসায়ী জজ মিয়া ওই ঘটনার বাদী হয়ে আজমিরীগঞ্জ থানায় ৮৪জনকে আসামী করে মামলা রুজু করেন। এ ছাড়া সাংবাদিক হুমায়ুন কবির ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠকের মাধ্যমে নিস্পত্তি করার লক্ষ্যে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি’র মাধ্যমে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার ও আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে ১০জন পুলিশসহ গত ১৭ মে বিরাট গ্রামে শালিসের আয়োজন করেন। শালিস বৈঠকে আওয়ামী সন্ত্রাসীসহ কথিত বিএনপি নেতা ইসমাইল হোসেন সরশের কু-প্ররোচনায় জজ মিয়াও তার স্বজনদের মারপিট করে এবং জজ মিয়াকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গলায় ছুরি দিয়ে কেটে ফেলার চেষ্টা করা হয়।এ সময় বিএনপি নেতা ঝলকের সহযোগিতায় প্রাণ রক্ষা পায় জজ মিয়া।
শালিস বৈঠকে আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শফিকুল ইসলাম উপস্থিত থাকার পরও জজ মিয়াকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সাংবাদিক হুমায়ুন কবির নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পক্ষে কথা বলায় তার বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠে আওয়ামী ও কথিত বিএনপি সন্ত্রাসীরা। তারই জের ধরে গেলো ৩ জুন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্য উপস্থাপন করে সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরকে মাদক বিক্রেতাদের গডফাদার বানানোর চেষ্টা করা হয়। এ সময় আসামী কথিত বিএনপি নেতা ইসমাইল হোসেন সরশ ও কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন মিয়ার নেতৃত্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরের মান হানি করতে পোষ্ট করা হয় এবং বিভিন্ন পত্র- পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে মান হানি ঘটানো হয়।
সাংবাদিক হুমায়ুন করিব একজন পুরাতন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী। তিনি সিলেটের স্থানীয় দৈনিক হাওরাঞ্চলের কথা পত্রিকার সহকারী সম্পাদক, জাতীয় দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ও একটি মানবাধিকার সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় কোঅর্ডিনেটর হিসাবে অত্যন্ত সুনামের সাথে এখন পর্যন্ত কর্মরত আছেন।
সাংবাদিক হুমায়ূন কবিরের আইনজীবী এডভোকেট সাব্বির আহমদ মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছে এবং সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিতে বলেছে।
সাংবাদিক হুমায়ুন কবির জানান, আমার গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে মারা-মারি হয়েছে। আমি একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ নিস্পত্তির উদ্যোগ গ্রহন করলে আওয়ামী লীগের ডেভিলরা শান্তিপূর্ন সমাধানের পথটি নস্যাৎ করে দেয়। আমি ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে কথা বলায় গত ৩ জুন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্য উপস্থাপন করিয়া সংবাদ সম্মেলন করে আমার মান হানি ঘটিয়েছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি আদালত থেকে আমি ন্যায় বিচার পাব।