স্টাফ রিপোর্টার:: সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় সোনাইনদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে ৪টি মালিকবিহীন ড্রেজার, মেশিন ধ্বংস করে দেয়া হয়। ১জুলাই মঙ্গলবার ছাতকের নোয়াকুট সীমান্তবর্তী ছনবাড়ী বাজার সোনাই নদীতে (বাইরং) অভিযান পরিচালনা করেন ছাতক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.তরিকুল ইসলাম।এসময় অভিযানে ছাতক থানা পুলিশ ও নোয়াকুট বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান,একটি মহা সিন্ডিকেট চক্রের অপতৎপরতার কারণে সরকারের লিজ বহির্ভূত সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির শেষ নেই।
যেমন বাস্তবতা:অপরিকল্পিত,অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন, ভাঙন,প্রাচীন জনবসতি গ্রাম ও কৃষি জমি ধ্বংস এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর মারাত্মক হুমকির নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।গত ৫ আগষ্টের পর এ মহা তান্ডব শুরু হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে আমরা দেখে আসছি, কীভাবে এই শক্তিশালী চক্র দিন-দুপুরে নদী থেকে বালু তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। এই অভিযান যেন থেমে না যায় এবং প্রকৃত দোষীরা যেন আইনের আওতায় আসে, তাহলেই আমাদের নদী ও গ্রামগুলো রক্ষা পাবে।
এলাকাবাসী ও স্হানীয় নদীরপাড়ে বসবাস কারীদের দাবি গত ৫ আগষ্টের পর থেকে ২-৩-টি গ্রুপের নেতৃত্বে এসব অবৈধ বালু উত্তোলন লুটপাট চলছে।
(মিজান গ্রুপ নেতা পরিচয়দানকারী) সাবেক ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কামরুল ইসলাম, জসিম, বোরহান মিয়া, হুমায়ুন, প্রশাসনের অসৎ কর্তাদের সাথে লিয়াজোকারী বলে পরিচিত বিএনপি নেতা আছদ্দর আলী, সাজিদ আলম,সুমন মিয়া, ফ্যাসিবাদী আ:লীগের মনিরুজ্জামান(সান্ডুল) জজ মিয়া,মাহফুজ মিয়া,জামাল মিয়া, এনাম, শিব্বির মিয়া,নেকির মিয়া,শিমুল গং। এরাই সোনাইনদীর অবৈধ বালু উত্তোলন লুটপাট সিন্ডিকেট ধ্বংসের কারিগর। এদের দমনের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি এলাকাবাসীর। এবিষয়ে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, নদী আমাদের প্রাণ, আমাদের সম্পদ।কোন প্রভাবশালী চক্রকে এই নদী ও পরিবেশ ধ্বংসের সুযোগ দেওয়া হবে না। আজকের অভিযান তাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। যারা এখনও এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত,সেচ্ছায় সরে দাড়াতে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায়-আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনগণের সম্পদ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।