নিজস্ব প্রতিবেদকল:: সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ইকবাল হোসেনের বাড়িতে গভীর রাতে সন্ত্রাসী আব্দুল আলিম ও রিজাদগংরা রামদা,বটি, চাকু, কিরিচ নিয়ে ইকবাল হোসেন এর বাড়ীতে হামলা করে ঘরের দরজা জানালা ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় ইকবাল হোসেনকে বাচাঁতে তাহার মেয়ে এগিয়ে আসলে তিনি আহত হোন। ভুক্তভোগীদের দাবি, হামলা কারীরা ইকবাল হোসেন ও তার মেয়ে মাহিয়া হোসেনকে মারধর করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীরা সময় টিভি বাংলাকে জানায়, বুধবার ২ জুলাই গভীর রাতে লামিম হোসেনের দক্ষিণ সুরমাস্থ বাসায় হামলা চালান তারই আত্মীয়—সন্ত্রাসী আব্দুল আলিম, আকতার হোসেন তার ছেলে ফারমান হোসেন এবং আব্দুল আলিমের ছেলে রিজাদ হোসেন। এ সময় লামিমের পিতা ইকবাল হোসেন ও বোনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। বিশেষ করে ইকবাল হোসেন এর মেয়ের ডান হাত ভেঙ্গে দেয় এবং বাম হাতে দা এর কুপ লেগে রক্তাক্ত হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মাহিয়া জানান, হামলাকারীরা নগদ প্রায় আড়াই লাখ টাকা এবং আনুমানিক ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সাবেক কাউন্সিলর রায়হান হোসেন দক্ষিণ সুরমা থানায় ফোন করে ঘটনাস্থলে পুলিশ নিয়ে আসেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা নিজেদের বাসায় ফিরে যায়। ভুক্তভোগী আহত নারী আরো বলেন রায়হান পুলিশ না আনলে আমার বাবা ইকবাল হোসেন, আমার মা এবং আমি মাহিয়াকে মেরে ফেলতো, পুলিশ আসায় ভাগ্যক্রমে আমরা বেঁচে যাই।
ভুক্তভোগী পরিবার দাবি করছে, হামলাকারী এলাকার চিহ্নিত জুয়ারী, মাদক ব্যবসার বিনিয়োগকারী। তাদের শেল্টারে অনেকে বড়ইকান্দি এলাকায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। অভিযোক্ত আব্দুল আলিম দক্ষিণ সুরমার শীর্ষ জুয়ারী সুরমামহল আস্তানার স্বত্তাধীকারী আবুল কাশেম এর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। যেখানে অহরহ জুয়া,মাদক ও পতিতা ব্যবসা চলার অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় আহত মাহিয়া হোসেন বলেন আমরা চিকিৎসা শেষে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবো। ওসি সাহেব বলেছেন আগে চিকিৎসা করেন পরে অভিযোগ দিবেন।
এ বিষয়ে জানতে দক্ষিণ সুরমা থানায় যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।