এম এ এইচ শাহীন(স্টাফ রিপোর্টার):: ছাতকের সোনাই নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন লুটপাট সিন্ডিকেট চক্রের বেপরোয়া হয়ে সরকারের সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি বিনষ্ট করে লাখপতি হচ্ছেন অনেকেই। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছনবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা জলাল মিয়া,তার দুই ভাগ্না তামিম মিয়া,ও তারেক মিয়া। এদের নেতৃত্বে চলছে শান্ত সোনাই নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন লুটপাট, আর মহোৎসব,মেতেছে বালুখেকোরা তাহারা সংবদ্ধ হয়ে প্রতিরাতে অবৈধ বালু উত্তোলন করছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ,পূর্বপাড়-অবস্থান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মৌজা: বাহাদুরপুর-রাজস্ব ছাতক উপজেলা। বাংলাদেশ সরকারের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান “ছাতকের রোপওয়ে কোম্পানীর” নিজস্ব জায়গা থেকে সরেজমিন পর্যবেক্ষণে দেখা যায় অবাধে জলাল মিয়া’র নেতৃত্বে চলছে এই বালু হরিলুট। একটি সুত্রে জানা যায়, এই বালু উত্তোলন প্রতিরাতে প্রায় ৫০০ শতাধিক বড় ট্রাক্টরের মাধ্যমে দানব এক্সেভেটর মেশিনের দ্বারা বালু উত্তোলন লোর্ড করা হয়ে থাকে। মেশিনের বিকট শব্দে স্হানীয় এলাকাবাসীর আরামের ঘুমই হারাম হয়ে যায়। এই বালু হরিলুটের কারণ বন্যার সময় নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে পুরাতন নোয়াকুট গ্রামের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি।
উল্লেখ্য-যে ব্যক্তি মালিকানাধীন রেকর্ডিয় সম্পত্তির কারণে সরকারের লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। তাই এ অযুহাতে একটি চক্র অবাধে পরিবেশ নিষিদ্ধ লিষ্টার মেশিন দ্বারা ও বালু উত্তোলন লুটপাট করে চলেছে। সনাতন পদ্ধতিতে বালু তুলে ঘরবাড়ি নির্মাণাধীন কাজে ব্যবহার করেও শতো বছর এই প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ বালু উত্তোলন শেষ হবে না। পরিবেশও বিপন্ন হবেনা।
সুত্রে আরো জানা যায় এখানে পেশী শক্তির জোরে। (বালু উত্তোলনকারী তামিমের সাথে অবৈধভাবে বালু লুটপাট করার কথা বলতেই সে জানায় কে সরাসরি দেখা করো মোবাইলে কোন মাত নাই বলে ফোন কেটে দেয়)। প্রশাসন কে ম্যানেজ করে থানা পুলিশ বর্ডারগার্ড বিজিবির নামে ও চাঁদা বানিজ্য চলে।বিজিবির নামে প্রতিটি বড় ট্রাক্টর থেকে ৩০০ টাকা করে আদায় করছে একটি চাঁদাবাজচক্র- সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকেন। ইদানীং লক্ষ করা যাচ্ছে নবনির্মিত সোনাই নদী সেতুর নীচ থেকে শুরু করে বারকী নৌকা দিয়েও শাহ আরপিন বাজার পর্যন্ত বালু উত্তোলন লুটপাট চলছে। সরকারের কোটি কোটি টাকার ব্যয়ে এই সেতুটি ও ক্ষতির আশংকায়।
সরকারের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ছাতক রোপওয়ে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বালুখেকোদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার ভূমিকা কি? এ প্রসঙ্গে ছাতক রোপওয়ে কোম্পানীর এমডি আব্দুর রহমান বাদশা বলেন,আমাদের কোম্পানীর কোন কর্মকর্তা কর্মচারী এতে জড়িত নয় নিরাপত্তার স্বার্থে কোম্পানির সীমানা রক্ষার প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। বিজিবির নাম ভাঙিয়ে প্রতিরাতে ট্রাক্টর প্রতি ৩০০ টাকা করে চাঁদা বানিজ্য করে থাকেন বিজিবির লাইনম্যান হারুন মিয়া, অপরদিকে ৪ জুলাই রাতে বিজিবির লাইনম্যান বাগান বাড়ির জালাল মিয়া, নিজগাঁও গ্রামের বাদশা মিয়া মাদক বানিজ্যের সাথে জড়িত বলে গোপন সুত্রে জানাগেছে। জালাল ও বাদশা দুজনেই বিজিবির লাইনম্যানের পরিচয়ে মদ গাঁজা ইয়াবা নাসির বিড়ির ব্যবসার সাথে ওপেনভাবে জড়িত রয়েছেন এবং বিজিবির অভিযানে পালিয়েছেন।
বালু উত্তোলনে ও চাঁদা বানিজ্য বিজিবি সুনাম ক্ষুন্ন এবিষয়ে বর্ডারগার্ড বিজিবির নোয়াকুট ক্যাম্পের (বিওপি) জানান, বিজিবির নাম ভাঙিয়ে কোন অপকর্ম করা চলবেনা তবে আমি ও শোনেছি এই লোকগুলো কারা এদের খুঁজতেছি। সুনাই নদীর বালু উত্তোলন লুটপাট সিন্ডিকেট বন্ধে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুন্নাহার,বলেন আমি ছুটিতে আছি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে।