স্টাফ রিপোর্টার ::ছাতক-কোম্পানীগঞ্জে দুই উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া(বাইরং) শান্ত সুনাই নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন লুটপাট চলছে। এ যেন সময়ের ৫ আগস্টের মত মহা ধুমধামে সরকারি সম্পদ লুটেরাদের হিড়িকে অতিষ্ঠ শত বছরের স্হানীয় বাসিন্দারা। লিজ বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত আওয়ামীলীগ-বিএনপি-জামাত সর্বদলীয় একটি সিন্ডিকেট চক্র, তাদের ফায়দা হাসিলের জন্য। প্রতিদিন বিকেলে থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত এই সরকারি সম্পদ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। পতিত আওয়ামীলীগের উঠতি বয়সের মাদকাসক্ত তরুণদের নেতৃত্বে ও চলছে এসব সরকারি সম্পদ লুটপাট। স্হানীয় এলাকা বাসীর ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে, প্রশাসনের নীরবতা থমকে গেছে এতে তারা আরো বেশি সক্রিয় ভূমিকায় সুনাই নদীর বালু উত্তোলনে সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। সরকারি সম্পদ অবৈধভাবে তারা লুটপাট করে খাচ্ছে প্রতিদিন কোটি টাকার বালু উত্তোলন হচ্ছে দেদারসে।এই বানিজ্য বন্ধ না করা গেলে একদিন নদী গর্ভে তলিয়ে যাবে হাজারো মানুষের স্হায়ী বসবাসের ঘরবাড়ি। ও ভিটেমাটি হারা হবে ছাতক-কোম্পানীগঞ্জ দুই উপজেলার নিম্নের গ্রামগুলি ছাতকের নিজগাঁও,গাঙপাড় নোয়াকুট,বৈশাকান্দি, কোম্পানীগঞ্জের ছনবাড়ী,পুরাতন জালিয়ারপাড়,বাহাদুরপুর নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা মেগা শিল্প প্রকল্প ছাতক সিমেন্ট কোম্পানী,সুনাই নদীতে নির্মাণাধীন কৃষকদের উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান রাবার ড্যাম,হাজার হাজার আবাদি কৃষি জমি, হুমকির মুখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল ও মাদ্রাসা,ছনবাড়ী বাজার,শাহ আরপিন বাজার,বৈশাকান্দি রাবার ড্যাম বাজার। পরিবেশ প্রতিবেশ বিপন্নকারী মেশিন লিষ্টার মেশিন দিয়েও রাতের আঁধারে বালু উত্তোলনে লুটপাট সিন্ডিকেট চক্র। হাজার হাজার বারকী নৌকা,এমন কি পেলোডার, দিয়ে সুনাই নদীর বালু লোর্ড করা হচ্ছে বড় ট্রাক্টর। সারি সারি ট্রাক্টর এর কারণে মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি ভোলাগঞ্জ টু ছনবাড়ী সড়কের ভাঙা গর্ত সৃষ্টির জন্য এই বালুখেকো সিন্ডিকেট দায়ী বলে জানান যাত্রী জনসাধারণ। কাঁচা টাকার নেশায় প্রশাসনের কিছু দুষ্ট কর্মচারী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা থানাপুলিশ ও ছাতকের নৌ পুলিশ ও বর্ডারগার্ড বিজিবির, সহায়তায় যোগসাজশে এসব অপকর্মে বীরত্বের সাথে দেশের সরকারি সম্পদ অবৈধভাবে বালু লুটপাট উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্হানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের নামকাওয়াস্ত অভিযানে দিনে বন্ধ থাকলে-রাতে আবারো তৎপর হয়ে ওঠে রাক্ষস বালুখেকোরা।(বালু লুটের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ভয়ানকভাবে গালিগালাজ,ছবি তুলতে বাঁধা প্রদান করা হয় সংবাদকর্মীদের।তখনই প্রশ্ন জাগে দেশ সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালু উত্তোলন করে সেটার বাস্তবতা গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে গেলে সেটাও অপরাধ হয় গালি খেতে হয় দালাল বলে)। সচেতন জনসাধারণের দাবি দিনে অভিযান না দিয়ে রাতের বেলা অভিযান দিলে সফলতা আসবে। সেই সাথে উক্ত বালুখেকো চক্রের মুল হোতাদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পদ অবৈধভাবে লুটপাট মামলা দিলেই স্হায়ী ভাবে বন্ধ হবে এই মহা তান্ডব বালু উত্তোলন লুটপাট বানিজ্য। রক্ষা হবে পরিবেশের বিপর্যয়,শান্ত হবে সুনাই নদী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বাস্তবতার চিত্র ওঠে আসে। সকল অবৈধ বালু লুটপাটকারীদের নামের তালিকা,এমনকি জামায়াত নেতা স্হানীয় ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুফি আলম সুহেল ও জড়িত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন লুটপাট বানিজ্যে, তিনি প্রশাসন ম্যানেজ করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন লুটপাট সিন্ডিকেট চক্র: ছনবাড়ী গ্রামের জালাল,মখলিছ,মুক্তার আলী, তামিম, তারেক, সুনা মিয়া,বাবুল মিয়া, জালালের বোন ছালাই বেগম,গাঙপাড় নোয়াকুটের মাছুম,তাজুল ইসলাম,দুলাল মিয়া, মনিরুজ্জামান সান্ডুল, নিজগাঁও গ্রামের আব্দুল হান্নান,বাহাদুরপুর গ্রামের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাসেল গাজী ওরপে (পাতলা রাসেল), এবায়দুল্লাহ,সাঈদ আলম,বিজিবির লাইনম্যান বাদশা মিয়া, বাগানবাড়ির জলাল মিয়া,পুলিশের লাইনম্যান আছদ্দর আলী, রফিক মিয়া প্রমুখ।
অবৈধভাবে সুনাই নদীর বালি উত্তোলনের বিষয়ে জানতে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে। তিনি বলেন এটা শুধু ছাতক না কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাও জড়িত বন্ধের বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে।
অবৈধভাবে সুনাই নদীর বালি উত্তোলনের বিষয়ে জানতে ছাতক উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু নাছির এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ছাতক নৌ পুলিশের এস আই আনোয়ার হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একদিকে আমাদের জনবল কম,এদিকে পানি কম থাকায় রাবাড্যাম পযন্ত যেতে পারি এর বেশী পারিনা তাই বন্ধ করা যাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন আমরা কিছুদিন আগে অভিযান দিয়েছি। চিরতরে বন্ধ করতে হলে, ছাতক, কোম্পানীগঞ্জ থানা,বিজিবি ও নৌপুলিশ এক সাথে যৌথ অভিযান দিলে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাবে।