হুনায়ুন কবির/ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায়”নান্দাইল ডিজিটাল প্রেসক্লাব” কর্তৃক আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত আনন্দ ভ্রমণের স্থান হল গাজীপুর সাফারী পার্ক। এই আনন্দ ভ্রমণটি (১২ জুলাই) শনিবার সকাল ৭:৩০ ঘটিকায় নান্দাইল ডিজিটাল প্রেসক্লাব কার্যালয় থেকে শুরু হবে। এছাড়াও প্রেসক্লাবের সকল নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়ে একটি হায়েস দারা যাত্রা শুরু করেন।
এই আনন্দ ভ্রমণে উপস্থিত ছিলেন নান্দাইল ডিজিটাল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো:জহিরুল ইসলাম লিটন, সাধারণ সম্পাদক মো:বিল্লাল হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো:সেলিম ভুইয়া, সহ-সভাপতি মো:মাহবুব আলম কাজল, সহ-সভাপতি মো:এইচ.এম.মিজান তালুকদার, মো: এনায়েত স্যার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো:তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মো: মোশারফ কবির, দপ্তর সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবির, সম্মানিত সদস্য মো: রহমত উল্লাহ সহ আরো দুইজন সম্মানিত অতিথিবৃন্দ।
সভাপতি জহিরুল ইসলাম লিটনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের সঞ্চালনায় ভ্রমণের উদ্দেশ্য রওনা হয়। এই আনন্দ ভ্রমণকে ঘিরে গাড়ি চলাচলের মধ্যে রাস্তায় কতই না মজার মজার গান, গল্প, কবিতা, ইত্যাদি শুনে আনন্দে মুখরিত সবাই।
এ সকল আনন্দের সাথে সাথে গাড়ি সকাল ১০:৩০ মিনিটে একটি স্টপে গিয়ে দাঁড়ায়। সবাই মিলে সকালের নাস্তার করার জন্য। সকলে মিলে নাস্তা করা হয় “হোটেল হেভেন” ভবানীপুর, গাজীপুর। নাস্তায় ছিল পরটা, ডিম, ডাল ও সবজি। মনোরম পরিবেশে নাস্তা করে নিয়েছি সবাই। নাস্তা করা শেষে সবাই গাড়িতে উঠে বসে ও রওনা হয় গন্তব্যর পথে।
দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে পৌঁছে গেলাম সকাল ১১:৪৫ মিনিটে গন্তব্যের স্থান ও ভ্রমণের সেই স্পট সাফারীপার্ক। গাড়ি পার্কিং করে সবাই নেমে পড়লাম। পার্কের কাউন্টার থেকে টিকেট নিয়ে সবাই ভিতরে প্রবেশ করিলাম। ভিতরে প্রবেশ করার সাথে সাথে দেখা যায় কত মনোরম পরিবেশে ঘেরা সাফারীপার্ক। আমরা দলবদ্ধ ভাবে ভিতরের সব পর্যটনীয় দৃশ্য দেখতে শুরু করলাম। সেখানে ছিল কত রং-বেরঙের মাছ, কুমির, অজগর সাপ, শকুন, বক, হাতি, বাঘ, জাতীয় পাখি দোয়েল, পেংগুইন পাখি, ঝুলন্ত গেইট, বানর সহ কতই না হাজার হাজার আকর্ষণীয় পর্যটনীয় জিনিস।
এছাড়াও সেখানে দেখা যায়, বিভিন্ন দেশি-বিদেশি অনেক ধরনের পর্যটক দর্শনার্থী। অনেক বিদেশি পর্যটক দর্শনার্থীও ভির করছেন সেখানে। শুধু তাই নয় আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন দর্শনার্থীও ভির করে আকর্ষণীয় সব দেখছেন। অনেক ঘুরেও যেন শেষ করতে পারলাম না সব। এই সাফারীপার্ক বিশাল আয়তন নিয়ে অবস্তিত। যার আয়তনের তুলনায় দৈঘ্য ও প্রস্ত বিশাল। প্রায় ৫ ঘন্টা সময়েও শেষ হলো না সাফারীপার্ক।
এর পর সবাই মিলে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য পার্কের ভিতর আড্ডা দিলাম। তখন ঘড়ির সময় বিকাল প্রায় ৫:০০ মিনিট। এই সময়টাও ছিল বেশ ভালো। সবাই মিলে গল্পে, কবিতা ও গানে গানে শেষ হয়ে গেল আমাদের সময়। কিন্তু তবুও যেন বাকি রইল কতই না দেখা নানান উপভোগীয় জিনিস। তবে প্রকৃতির এই দৃশ্য যেন মন জুরিয়ে যায়।
তারপর আমরা সাফারীপার্ক থেকে রওনা দিলাম সন্ধ্যা ৬:১৫ মিনিতে আমাদের গন্তব্যের ক্লাবের দিকে। রাস্তায় আসার পথে ভালুকায় “হোটেল সেভেন স্টার” এ দুপুরের খাবার কাজটাও সেরে নিলাম সবাই। খাবার হিসাবে ছিল ভাত, বাজি, শাক, বর্তা, গোড়া মাছ, রুই মাছ, গরু মাংস ও ডাল। হোটেলটাও অনেক সুন্দর ছিল। ছিল মনোরম সুন্দর পরিবেশ। খাবার গুলোও ছিল স্বাদে ভরা। ক্লান্ত শরীরে সবাই খেয়ে মাতাল। খাবার শেষে আবার সবাই রওনা দিলাম ক্লাবের দিকে।
এক পর্যায়ে এই ক্লান্ত শরীরে হঠাৎ সুরে সুরে বেড়িয়ে আসলো আমাদের মোশারফ কবিরে কন্ঠে গান। কি যেন এক জাদুর সুরে গেয়ে যাচ্ছে গান। সবাই গান গুলো শুনছে খুব মনযোগ সহকারে। তারপর আবার হঠাৎ গাড়ি থেমে গেল, তখন রাত ৮: ৩০ মিনিট। দেখি নিবু নিবু আলোয় দেখা যায় আমাদের প্রেসক্লাব। একে একে সবাই নেমে পড়লাম। চলে আসলান ক্লাবে। প্রেসক্লাবে সবাই সারাদিনের ক্লান্তি শরীর নিয়ে একে একে বসে পরলেন।
এমন সময় সভাপতি জহিরুল ইসলাম লিটন বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে ও প্রেসক্লাবের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে সবার সহযোগিতায় আমাদের এই আনন্দ ভ্রমণের কাজ সুন্দর ভাবে শেষ করতে পাড়ায় আজকের মতো সমাপ্তি করা হল।।