নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে চলছে রমরমা চাঁদাবাজি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামিলীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহপরান ও গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এডভোকেট শাহজাহান সিদ্দিকী এর নেতৃত্বে জাফলং চা বাগান এলাকায় ফসলীজমি ধ্বংস করে চলছে রমরমা চাঁদাবাজী। তাদের সহযোগিতা করছে, জাফলং ফাঁড়ির আইসি এস আই এবাদুল্লা।
শাহপরানের নেতৃত্বে প্রতিদিন রাতে চা বাগান ও ফসলি জমি ধ্বংস করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের কাছ থেকে। তার অন্যতম সহযোগী গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রাতারগুলের রিপন হত্যা মামলার প্রধান আসামী এডভোকেট শাহজাহান সিদ্দিকী ও তার সহযোগীরা প্রতিদিন ২০ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন সময় টিভি বাংলাকে বলেন যুবদলের গোয়াইনঘাট উপজেলা আহবায়ক শাহজাহান সিদ্দিকী তাহার অনুগত অনুসারীদের নিয়ে উপজেলা যুবদলের নামে প্রতিদিন ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তিনি আওয়ামীলীগের দালাল হিসেবে চিহ্নিত। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় তাদের সাথে হাত মিলিয়ে রাতারগুলের রিপন হত্যা মামলাটি স্টে করেছিলেন।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ২০২৪ ইং সালের ২৯ আগস্ট এসএম/১৬/২৪ নং স্মারকে যুবদলের সিলেট জেলা সভাপতি এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মুমিন ও সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের আহবায়ক পদ থেকে এডভোকেট শাহজাহান সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছিলেন। পরবর্তীতে টাকা পয়সা দিয়ে পদ ফিরে পেয়েছেন বলে স্থানীয়দের ধারনা। তিনি এখনো আহবায়ক পরিচয়ে অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন।
আর উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক
শাহপরান উপজেলা বিএনপির নামে প্রতিদিন ৫ লক্ষ
টাকা চাঁদা আদায় করেন। এই দুই নেতা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে তাদের সহযোগীদের নিয়ে আখের গোছাতে ব্যস্ত। তারা চুর ডাকাতদের মতো চাদা কালেকশন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করলে বেড়িয়ে আসে তাদের অপকর্ম। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে প্রমান থাকলেও কোন ব্যবস্হা নিচ্ছে না। কারণ তারাও শাহপরান-শাহজাহানের কাছে থেকে নিয়মিত বড় অংকের বখরা পেয়ে থাকে। যাহার ভাগবাটোয়ারা ওসি পর্যন্ত পেয়ে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব অপকর্ম প্রতিরোধে দূর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।