নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট নগরীর ব্যস্ততম উপশহর পয়েন্ট সংলগ্ন মেন্দীবাগ পয়েন্টে সিলেট জেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স রাস্তা ঘেষে জেলা পরিষদ মার্কেট। সেই মাকেটের বিভিন্ন দোকান কোটা উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ইজারা নিয়েছেন বিভিন্ন ব্যক্তি। ইজারা নিয়ে তারা আবার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দিয়েছেন। এই মাকেটে মোট ১২ টি দোকান কোটা রয়েছে। এল সিস্টেম এই মার্কেটের উত্তর পাশের ৪টি দোকান কোটা ভাড়া নিয়ে আজিজুল হাকিম নামের এক ব্যক্তি গড়ে তুলেছেন ভর্তাবাড়ী রেস্টুরেন্ট। এই ৪টি দোকান ৪ জন ব্যক্তির কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন ভাড়া সাভ্যস্ত্য করে ভাড়া নিয়েছেন আজিজুল হাকিম। সামনের কর্ণারের দোকান কোটার মাসিক ভাড়া ৩০ হাজার টাকা, পশ্চিম পাশের বাকী তিনটি দোকান কোটার ভাড়া প্রতিটি ২০ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকা। অর্থ্যাৎ ৪ টি দোকান কোটার একত্রে প্রতি মাসে ৯০ হাজার টাকা। ফ্যাসিট আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় আজিজুল হাকিম ঠিকমতো ভাড়া পরিশোধ করলেও ২০২৪ ইং সালের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে পল্টি মারেন আজিজুল হাকিম। দোকানের মালিকরা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা হওয়ায় সুযোগ শতভাগ কাজে লাগিয়ে মামলা হামলা ও জেলে পাঠানোর ভয় দেখিয়ে বিগত ১৩ মাস যাবৎ দোকানের ভাড়া না দিয়ে জোরপূর্বক দখল করে আয়েশি ভঙ্গিতে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করে আসছেন। দোকান মালিকরা ভাড়া চাইলে তিনি পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের বিতারিত করেন। কর্ণারের দোকান মালিককে অস্ত্রের ভয় দেখানোর পর তিনি জীবন বাঁচাতে কানাডা ফাঁড়ি দিয়েছেন।বর্তমানে তিনি সেখানেই বসবাস করছেন। অন্যরাও সাহস করে ভাড়া চাইতে পারছেননা। নিয়াজ আহমদ এর ভাই গিয়াস ভাড়া চাইতে চাইতে বিরক্ত। তবুও ভাড়া পাচ্ছেননা।
এব্যপারে ৩ নং দোকান মালিক ভূক্তভোগী নিয়াজ আহমদ এর ভাই গিয়াস এই প্রতিবেদককে হতাশা প্রকাশ করে বলেন। কি আর বলবো অনেক কিছু বলার ছিলো কিন্তু সময় ভালোনা তাই বলতে চাইনা, আল্লাহর উপর বিচার দিয়ে রেখেছি। তিনি আরো বলেন বিগত ১৩ মাস যাবৎ আমরা কেউ দোকানের ভাড়া পাচ্ছিনা। বরং আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, পুলিশি ভয় দেখানো হচ্ছে। তিনি বলেন বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে আমাদের ১৩ মাসের দোকান ভাড়া ১১লক্ষ ৭০ হাজার টাকা না দিয়ে জোরপূর্বক দখল করে ব্যবসা চালাচ্ছে আজিজুল হাকিমগংরা। তিনি ভোক্তাঅধিদপ্তরের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন তারা রান্নাঘরে গিয়ে দেখুক কি পরিবেশে খাবার তৈরি করে মানুষকে পরিবেশন করা হচ্ছে।
এব্যপারে ভর্তাবাড়ী রেস্টুরেন্টের মালিক আজিজুল হাকিম এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়, তখন তিনি ভাড়ার ব্যপারে এই প্রতিবেদককে বলেন আমি নিয়মিত ভাড়া দিয়ে যাচ্ছি।