নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের গোলাপগঞ্জে পলাতক থেকেও মোটরসাইকেল চুরিতে বেপরোয়া রায়হান, বেড়েছে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা। এই চুরির মুলহোতা চিহ্নিত মোটরসাইকেল চোর রায়হান আহমদ। সে বেশ কিছু দিন মধ্যে প্রাচ্যের দেশ দুবাই ছিলো, তখন গোলাপগঞ্জে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা কম ছিলো। কিন্তু সে দেশে আসার পর থেকে আবারো সীমাহীন বৃদ্ধি পেয়েছে মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোলাপগঞ্জ উপজেলার শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের মেহেরপুর গ্রামের আনু মিয়া ওরফে আনই,র পুত্র রায়হান আহমদ একজন চিহ্নিত মোটরসাইকেল চোর। তাহার বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ রয়েছে। চুরিতে হাতেনাতে ধরে সাধারণ মানুষ তাহার একটি হসত ভেঙ্গে দিয়েছে। সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, বড়লেখা, জুড়ি, কুলাউড়া, ফেঞ্চুগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। ঐ সব এলাকায় যতো মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে, সেইসব ঘটনায় তাহার নাম চলে আসে। কিছুদিন আগেও কুলাউড়া থানা পুলিশ জাহাঙ্গীর নামের এক মোটরসাইকেল চোরকে আটক করে এর পর তাহার দেয়া তথ্যে গোলাপগঞ্জে অভিযান চালিয়ে সামাদকে ২টি চুরির মোটরসাইকেলসহ আটক করে।
স্থানীয়রা এই প্রতিবেদককে বলেন গোলাপগঞ্জসহ আশ পাশের উপজেলায় মোটরসাইকেল চুরি বন্ধ করতে হলে রায়হান আহমদ ও সামাদকে আইনের আওতায় আনতে হবে, তা নাহলে কোনভাবেই মোটরসাইকেল চুরি বন্ধ করা যাবেনা। মোটরসাইকেল যারা ব্যবহার করেন বা চালান তারা সব সময় রায়হানের চুরির ভয়ে আতঙ্কে থাকেন।
মোটরসাইকেল চোর রায়হানের ব্যপারে জানতে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাহার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।