স্টাফ রিপোর্টার: কোম্পানীগঞ্জের বুড়দেও গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে দিনমজুর লিটন মিয়াকে রাতের অন্ধকারে ডেকে নিয়ে বেদড়ক পিঠিয়ে হত্যার চেষ্টা করে স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র। ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার রাত অনুমান সাড়ে ১২টায়। গুরুতর আহত লিটন মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মো: খলিল মিয়ার পুত্র।
স্থানীয় সুত্র জানায়, মো: খলিল মিয়া দীর্ঘ বছর ধরে কোম্পানীগঞ্জে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন। লিটন মিয়া তার বড় সন্তান। সে বিয়ানীবাজারে থেকে শ্রমিকের কাজ করে। ঘটনার ১০-১২দিন পূর্বে বাবা মাকে দেখতে আসেন। ঘটনার দিন রাতে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম মেম্বারের কথা বলে কামরুল ইসলাম নামের এক যুবক তাকে তার সৎ মায়ের ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। কামরুল ইসলাম ছাত্রদল বহিস্কৃত কর্মী। তার বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় কাটাখাল এলাকার ডাম্পিং সাইটে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়। তার বিরুদ্ধে নানান অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ স্থানীয়দের। বুড়দেও গ্রামের আলীর বাড়ীর পিছনে রাস্তার পার্শ্বে গাছের সাথে হাত পা বেধে দক্ষিন বুড়দেও গ্রামের মৃত খুর্শিদ মিয়ার পুত্র ছত্তার মিয়া (৪০) ছত্তার মিয়ার স্ত্রী বানেছা বেগম, শাহজাহান মিয়ার পুত্র দেলোয়ার হোসেন, নাছির মিয়ার পুত্র রমজান আলীসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৩-৪জন এলোপাতাড়িভাবে পিঠিয়ে মারা গেছে ভেবে পালিয়ে যায়। ঘটনার মুল হোতা কামরুল ইসলাম ও আমার শ্যালক আক্কাছ আলী, জমির মিলে খেয়াঘাটে নৌকার মাঝি লিটনের পিতা খলিল মিয়াকে অবহিত করেন। খবর শুনে লিটনের পিতা খলিল মিয়া, মামা আক্কাছ আলী ও জমির মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মুর্মুষ অবস্থায় লিটন মিয়াকে গাছের সাথে বাধা অবস্থায় দেখতে পায় এবং পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মুর্মুষ অবস্থায় লিটনকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই দিন পর তার জ্ঞান ফিরে। এ বিষয়ে গুরুতর আহত লিটনের পিতা খলিল মিয়া ৫জনের নাম উল্লেখ করে অফিসার ইনচার্জ কোম্পানীগঞ্জ থানা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় এস আই আমিরুল ইসলাম উত্তমকে দায়িত্ব দেয়া হলে এখন পর্যন্ত কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে বাদীর অভিযোগ। এ ব্যাপারে এসআই আমিরুল ইসলাম উত্তম এর বক্তব্য জানতে বার বার কল দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। ৩নং তেলিখাল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছেলেটি খুবই অসহায়। পুলিশ থানায় মামলা নেয়নি। গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করছে। আমি তার বিষয়ে কিছুই জানি না। যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার। কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রতন শেখ জানান, এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।