নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের গোয়াইনঘাটে উপজেলার১২ নং সদর ইউনিয়নের লাটি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে লুটপাট করছে হুমায়ুন- বাবুল চক্র।
লাটি নদী যাকে আঞ্চলিক ভাষায় লাটি গাং বলে, সেই এলাকার বালুখেকো হুমায়ুন-বাবুলগংদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা। একদিকে ডেজার ও লিষ্টার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে লুটপাট করছে অন্যদিকে পুলিশের নামে প্রতি ফুট ৫ টাকা হারে দৈনিক ৫ লক্ষ টাকা আদায় করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
বালু উত্তোলন বিষয়ে জানতে গোয়াইনঘাট থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এসআই ফারুকসহ একটি ফোর্স পাঠিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সহকারী কমিশনার ভূমি গোয়াইনঘাটও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে অর্থদন্ড আদায় করেন।
এর আগে গোয়াইনঘাটের জাফলং পর্যটন এলাকা পরিদর্শন করেন নবাগত জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম। তিনি ঐ এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে অবৈধভাবে বালু- পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি পরিস্কার বলেদিয়েছেন কোন অবৈধ কর্মকান্ড বা পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কার্যক্রম জাফলং পর্যটন এলাকায় সহ্য করা হবেনা। যারা করবেন বা করতে চাইবেন তাদের অনেক মূল্য দিতে হবে।
বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পরিবর্তনের পর চাঁদাবাজ চক্রের মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে অনেক জায়গায় আওয়ামীলীগের নেতারা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে পূর্বের লুটপাট বহাল রেখেছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় দিনে এবং রাতে লাটি গাং থেকে অবাধে হুমায়ুন ও বাবুলগংরা বালু উত্তোলন করছে। যার কারণে একদিকে নদী ভাঙ্গনে মসজিদ বিলীন হওয়ার পথে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের বাড়ীঘরও বিলীন হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রস বলেন পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকতাদের ম্যানেজ করেই চলে তাদের এই লুটপাট।
স্থানীয়রা আরো জানায়, প্রশাসন মাঝেমধ্যে অভিযান চালালেও বন্ধ হচ্ছেনা বালু উত্তোলন। এমন লোক দেখানো অভিযান স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি করে। প্রতিদিন শত শত নৌকা বালু পরিবহন করছে।
নাসারী ব্যবসায়ী জাকারিয়া মাসুদ বলেন লাটি নদীর বালু লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি তাহার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন লাটি নদীর বালু লুটপাট কারী বাবুলগংরা যদি তাকে মেরে ফেলে তাহলে পৈতৃক ভিটায় দাফনের অনুরোধ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন
নদী আর বাঁধের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। নদী থেকে রয়েলিটির নামে আরেকটি চক্র চাঁদাবাজি করে বলে অভিযোগ রয়েছে। সবমিলিয়ে চাঁদাবাজদের মিলনমেলা গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন নদী।
স্থানীয়রা জানান, এসব কার্যক্রমের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহল, যারা প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছে। তারা লাটি নদীর বালু লুটপাট বন্ধে নবাগত জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।