নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ সিলেটের গোয়াইনঘাটে উপজেলার জাফলং এলাকার শীর্ষ বালুখেকো ইস্টালিং-কামরুল এর চাঁদাবাজির সংবাদ সময় টিভি বাংলা এবং জাতীয় দৈনিক বিকাল বার্তায় প্রকাশের পর অভিযান চালিয়েছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। অভিযান দিয়ে বালু খেকোদের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করে দিলেও আবারো তারা লুটপাট চালাচ্ছে।
এর আগে গোয়াইনঘাটের জাফলং পর্যটন এলাকা পরিদর্শন করেন নবাগত জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম। তিনি ঐ এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে অবৈধভাবে বালু- পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি পরিস্কার বলেদিয়েছেন কোন অবৈধ কর্মকান্ড বা পরিবেশ নষ্ট হয় এমন জাফলং পর্যটন এলাকায় সহ্য করা হবেনা। যারা করবেন বা করতে চাইবেন তাদের অনেক মূল্য দিতে হবে।
ইস্টালিং-কামরুল এর চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে গোয়াইনঘাট থানার নবাগত ওসি তরিকুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাহার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর সময় টিভি বাংলা'য় "গোয়াইনঘাটের জাফলংযে ইস্টালিং-কামরুল সিন্ডিকেটের বেপরোয়া চাঁদাবাজি" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। নিচে তা হুবহু দেওয়া হলো।
নবাগত জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম যোগদানের পর সকল বালু পাথর রাজ্যে চলছে কঠোর অভিযান ও নজরদদারী তবুও রক্ষা করা যাচ্ছেনা জাফলংয়ের বালু পাথর লুটপাট। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকায় এখনো চলছে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন। ফলে দৈনিক ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছে ইস্টালিং-কামরুল সিন্ডিকেট চক্র।
বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পরিবর্তনের পর চাঁদাবাজ চক্রের মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ও ইউএনও’ এর নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের পাহারায় ইস্টালিং- কাম৭৬জরুল ও পরিবেশ অধিদপ্তরের বদরুল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলছে জাফলংয়ের চাঁদাবাজি!
গোয়াইনঘাটের ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যবেষ্টিত জাফলং জুমপার, স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘বরুনের জুং নামে' যা এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের বাংলা বাজার, বালির হাওর, জাফলংয়ের জুমপার, ইসিএ ভুক্ত এলাকায় চলছে অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলনের মহোৎসব।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গ্রাম রক্ষা বাঁধের দুই পাশে বোমা মেশিন, শ্যালো মেশিন ও ফেলুডার (বালু তোলার পাইপ মেশিন) দিয়ে দিনে রাতে অবৈধভাবে চলছে বালু ও পাথর উত্তোলন। এর মধ্যে জাফলং জুমপাড় বরুনের জুং, পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের বাংলা বাজার, বালির হাওর, জাফলং ডাউকী নদীর ইসিএ ভুক্ত এলাকাসহ আশেপাশে অবৈধভাবে শ্যালো মেশিন ও ফেলুডার দিয়ে বালু পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে জাফলংয়ের পরিবেশ।এসকল এলাকায় প্রায় ৩০টিরও বেশি গর্ত রয়েছে।
প্রতি বোমা মেশিন থেকে দৈনিক ১৫ হাজার, গর্ত থেকে ১০ হাজার, এক্সেভেটর থেকে ১৫ হাজার, শ্যালো মেশিন থেকে ২ হাজার ফেলুডার থেকে ২ হাজার এবং প্রতি নৌকায় লোড করা বালু থেকে তিন টাকা ফুটে হিসেবে স্থানীয় থানা পুলিশের নামে টাকা আদায় করেন লাইনম্যান ইস্টালিং, ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল, কামাল মেম্বার, জাহিদ,কামরুল, খায়রুল ও পরিবেশ অধিদপ্তরের বদরুল।
স্থানীয়রা আরো জানায়, প্রশাসন মাঝেমধ্যে অভিযান চালালেও বন্ধ হচ্ছেনা বালু পাথর উত্তোলন। এমন লোক দেখানো অভিযান স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি করে। প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু ও পাথর পরিবহন করছে।
। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন
নদী আর বাঁধের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। ট্রাক থেকে আরেকটি চক্র চাঁদাবাজি করে বলে অভিযোগ রয়েছে। সবমিলিয়ে চাঁদাবাজদের মিলনমেলা জাফলং।
স্থানীয়রা জানান, এসব কার্যক্রমের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহল, যারা প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছে।
বালু পাথর লুটপাট কারীদের বিরুদ্ধে পরিবেশবাদীরা বলছেন, এখনই শক্ত পদক্ষেপ না নিলে জাফলংয়ের প্রাকৃতিক ভারসাম্য পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। এই চক্র গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকেই ইসিএভুক্ত এলাকা জাফলং,বাংলা বাজার, বালির হাওর, পিয়াইন ও ডাউকী নদীর উৎসমুখ হয়ে জাফলং সেতু পর্যন্ত অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করছে। এতে মাঝেমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে দায়সারা অভিযান পরিচালনা করা হলেও অভিযানের কয়েক ঘণ্টা পরই সেই আগের রূপে ফিরে পায় জাফলং নদী।
পরিবেশবাদীদের দাবি, স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দ্রুত হস্তক্ষেপ ছাড়া জাফলংয়ের অস্তিত্ব রক্ষা সম্ভব নয়।
প্রকাশক: মিসেস মোর্শেদা হাসান, সম্পাদক : কল্লোল পাল সর্দার, প্রধান সম্পাদক : ইমরান হাসনাত জুম্মান(ইউকে প্রবাসী) ,
সহ-সম্পাদক: মো: আল-আমীন, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট।, মোবাইল: ০১৬০৭৮৯৭৭৯৪
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত