নিজসপ্রতিবেদক:: সিলেট নগরীর কদমতলী বাস টামিনালের সামনে প্রায় শত কোটি টাকার সরকারী সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন ভূমিখেকোর বিরুদ্ধে। বিগত প্রায় ২৫ বছর যাবৎ জবরদখল করে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করে আসছে তারা। যখন যে দল ক্ষমতায় গিয়েছে সেই ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের বড় অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে দখল বাণিজ্য চালিয়েছে। বিশেষ করে বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের ১৭ বছরে ভূমিখেকো দখলদাররা অর্ধশত কোটি টাকার ব্যবসা করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের সুযোগে বিএনপি- জামায়াতের পরিচয়ে পূর্বের দখলবাজদের সড়িয়ে নতুন করে পূনর্দখলের চেষ্টা চলছে বলে স্থানীয় একটি সুত্র জানিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকে কদমতলী বাসটার্মিনাল এলাকায় চাপা উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কয়েকদিন আগে নবাগত জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলম কদমতলী কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ট দৃষ্টি নন্দন বাসটার্মিনালের সামনে যতো অবৈধ স্থাপনা আছে তা সড়িয়ে নিতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেন।
এরপর নরেচরে বসে সওজ। তারা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে কদমতলী বাসটার্মিনালের সামনে রাস্তার দক্ষিণ পার্শ্বে ফিতা টেনে সরকারী দখলীয় জমি চিহ্নিত করেন। সরকারী জমি চিহ্নিত হওয়ার বিষয়টি তখন টক অব দ্যা সিলেটে পরিণত হয়। উপায় খোজেঁ না পেয়ে ভূমিখেকোরা তাদের দখলীয় জমি টিকিয়ে রাখতে গত ৩ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তার সাথে গোপন বৈঠক করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন ঐ বৈঠকে সওজ কর্মকর্তাকে বখরা দিয়ে ম্যানেজ করা হয়েছে বলে লোকমূখে চাউর হয়েছে।
দখলীয় জমিতে যে সব প্রতিষ্টান বর্তমানে রয়েছে তা হলো:-আহমেদ পরিবহন, রজনী রেস্টুরেন্ট, বিলাস পরিবহন, রোমার পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, ইউনিক পরিবহন, রয়েল সুপার, তায়েফ পরিবহন, লোপা ভ্যারাইটিজ ষ্টোর, আল- আমিন রেস্টুরেন্ট, ব্রাদার্স পেট্টোলপাম্প, হাজী আব্দুল মতলিব পেট্টোলপাম্প, যাত্রীসেবা আবাসিক হোটেল, সৌদিয়া রেস্টুরেন্টসহ আরো অনেক দোকান। ভূমিখেকোরা দখলীয় জমিতে স্থাপনা তৈরি করে ভাড়া আদায় করছেন।
এবিষয়ে জানতে সিলেট সড়ক ও জনপথ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন এর সাথে মুঠেফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিএই প্রতিবেদককে বলেন কদমতলী বাসটার্মিনালের সামনে যারা সরকারী জমি দখল করেছে তাদেরকে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে, মাইকিংও করা হয়েছে যে কোন সময় জেলা প্রশাসক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবেন।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম সিলেটের কদমতলী বাস টার্মিনাল এলাকার অবৈধ স্থাপনা সরাতে ৭ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, সিসিকের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ একলিম আবদীনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রকাশক: মিসেস মোর্শেদা হাসান, সম্পাদক : কল্লোল পাল সর্দার, প্রধান সম্পাদক : ইমরান হাসনাত জুম্মান(ইউকে প্রবাসী) ,
সহ-সম্পাদক: মো: আল-আমীন, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট।, মোবাইল: ০১৬০৭৮৯৭৭৯৪
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত