নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটকে অপরধ মুক্ত করতে নবাগত পুলিশ কমিশনার যখন জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছেন তখন ফাঁড়ি পুলিশের কিছু দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তার সহযোগিতায় উত্তর ও দক্ষিন সুরমায় চলছে সাইফুলগংদের বেপরোয়া রামরাজত্ব।
সিলেটের অন্যতম আলোচিত জুয়াড়ী ফায়কুল ইসলাম ওরফে সাইফুল। তিনি নগরীর সোবহানীঘাট কাঁচাবাজারের পিছনের গলিতে দিনে রাতে জান্ডুমুন্ড, শীলংতীর নামক অনলাইন জুয়ার রমরমা প্রতারণা করে যাচ্ছেন। তাহার এই প্রতারণাকে সহযোগিতা করছে সোবহানীঘাট ফাঁড়ি পুলিশের টু আইসি দ্বীপরাজ। সাইফুলের জুয়ার বোর্ড থেকে সোবহানীঘাট ফাঁড়ি পুলিশকে সপ্তাহে ৭ হাজার টাকা দেওয়া হয় বলে বিশ্বস্থ একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও ডিবির সোর্স পরিচয়দানকারী সানি সপ্তাহে ৯ হাজার টাকা ডিবি পুলিশের নামে আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। মহৎ পেশা সাংবাদিকতার পরিচয়ে দৈনিক যুগান্তর বাংলাদেশ ও আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার সিলেট প্রতিনিধি মোতালেব খান উরফে মিসবাহ নামের এক সাংবাদিক পার্টনার হিসেবে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জুয়ার প্রতারণার সংবাদের জন্য সাইফুলকে ফোন করলে তিনি মোতালেবকে ফোন নাম্বার দেন। এরপর সাইফুলের পক্ষ হয়ে সংবাদ না করতে অনুরোধ করেন। তিনি দৈনিক ষুগান্তর বাংলাদেশ ও দৈনিক আজকের বসুন্ধরা সহ কয়েকটি পত্রিকার কাজ করেন বলে পরিচয় দেন মোতালেব। অনেককে সপ্তাহে কিছু বখরা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ম্যানেজ করেন। এছাড়াও রাজনৈতিক চাঁদাবাজরা বখরার বিনিময়ে জুয়ার অপকর্ম পরিচালনা করতে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও দক্ষিণ সুরমার চাঁদনীঘাটে আরেকটি জুয়ার বোর্ড আছে বলে জানা যায়, সেখানে পুলিশকে তোয়াক্কাই করছেনা সাইফুল, মোতালেব, সানি ও কাশেমগংরা। চাঁদনী ঘাটেও জান্ডুমুন্ড জুয়া চলে, পাশা-পাশি শীলংতীর নামক জুয়ার রমরমা বাণিজ্যতো আছেই। এসব জুয়ার বোর্ড থেকে সাংবাদিকতার নামে চলে বখরা আদায়, আর সেই বখরা আদায় করেন মোতালেব।
আবার চাদঁনী ঘাটের জুয়ার বোর্ড থেকে ডিবি’র সোর্স পরিচয়ে সানী নামের এক ব্যক্তি সাপ্তাহিক ১৫ হাজয় টাকা বখরা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফলে একদিকে যেমন পুলিশ কমিশনারের মহত উদ্যোগ ও নির্দেশ বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। অন্যদিকে খেটে খাওয়া সাধরণ মানুষ প্রতারণার শিকার হয়ে খালি হাতে বাসায় ফিরছে। যার কারণে পরিবারে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। পরিবারের বিশৃঙ্খলা কমাতে সাধারণ জুয়ারীরা জড়িয়ে পড়ছে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে।
এব্যাপারে জানতে সোবহানীঘাট ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এস আই আবুবক্কর সিদ্দিকীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করে কাঁচাবাজারে সাইফুলের জুয়ার বোর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে এখনই অভিষান দিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এব্যাপারে জানতে কদমতলী ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সাইফুলের জুয়ার বোর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাহার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সচেতন মহল মনে করেন এসব জুয়ার বোর্ড ও জুয়াড়ীদের বিরুদ্ধে এ্যাকশনে যেতে পুলিশের পাশা-পাশি যৌথবাহিনীর হহস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।