স্টাফ রিপোর্টার:: সুনামগঞ্জের ছাতকের সোনাই নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন লুটপাট সিন্ডিকেট বানিজ্যের নেপত্যে যাঁরা। সরকারের লিজ বহির্ভূত সোনাই নদী থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বালু উত্তোলন লুটপাট বানিজ্য চলছে এ যেনও মগেরমুলুকে পরিণত হয়েছে। যার মন চায় সেই যেন রাগব বোয়াল।নদী থেকে অবাধে লুট হচ্ছে খনিজ সম্পদ। ড্রেজার মেশিনসহ নানা উপায়ে দিনরাত চলছে এই বালু উত্তোলন। ফলে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ, হুমকির মুখে আশপাশের বসতি। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে বালু লুটের প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। প্রশাসন বলছে, অভিযান চালিয়েও থামানো যাচ্ছে না লুটপাট কান্ড।সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা মিলে নদী থেকে তোলা হচ্ছে মূল্যবান খনিজ সম্পদ বালু। এমন চিত্র প্রায়ই দেখা যায় সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গাঙপাড় নোয়াকুট। বাগানবাড়ি, ছনবাড়ী গ্রামের সড়কের নীছ থেকে দিনরাত এভাবেই চলে বালু লুট।আরও ভয়াবহ অবস্থা উপজেলার রাবার ডাম্প বৈশাকান্দি,বাহাদুরপুর এলাকার।
রাতের আঁধারে ড্রেজার মেশিন দিয়ে সুনাই নদীর গভীর থেকে ৫ আগস্টের পরপরই বালু লুটপাটে ক্ষত-বিক্ষত পুরো এলাকা। ছোট্ট সুনাই এখন পরিণত হয়েছে বিশাল নদীতে। হুমকির মুখে আশপাশের রাস্তার পরিবেশ। লুটেরাদের দৌরাত্ম্যে অসহায় স্থানীয় বাসিন্দারা।স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, বালু উত্তোলনের ফলে তাদের বসতবাড়ী ভেঙে যাওয়ার উপক্রম। বালু উত্তোলনে আগের থেকে অনেক গভীর হয়েছে নদী। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার বালু মহাল ইজারা দেয়া হয়নি।তবু এসব এলাকায় অবাধে চলছে বালু লুটপাট। স্থানীয়দের দাবি, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে প্রভাবশালী একাধিক সিন্ডিকেট। তাদের নেতৃত্বে বালু লুটের পাশাপাশি মজুদ ও বিক্রি চলছে প্রকাশ্যেই। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই শুরু হয় নির্যাতনের হুমকি আর হয়রানির ভয়। বালু লুটপাটের সঙ্গে জড়িত নেপত্যকারী যাঁরা
বেশ কয়েক জনের নাম উঠে আসে স্থানীয়দের মুখে। অভিযুক্তরা হলেন-ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি নুরুজ্জামান, জামিল রহমান মাছুম,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড.সাইফুল আলম, ইসলামপুর ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক দুলাল আহমদ,জাহাঙ্গীর আলম, মাহফুজ মিয়া, সুজন আহমদ,(ছনবাড়ী) ডালারপারের রুহেল মিয়া,সুনা মিয়া,মুখলিছ মিয়া,ছনবাড়ী গ্রামের বাবুল, সুমন, মনু, কাউসার, নিজগাঁও গ্রামের ছালাম, কামরান, আনর আলী, ফরিদ মিয়া,গাংপাড় নোয়াকুট গ্রামের রশিদ, হুমায়ুন ,রায়হান,হুছন আহমদ,জুবেল মিয়া, তেরাব আলী,রুবেল মিয়া,শারপিন বাজারের মহন মিয়া,হারু,মুক্তার আলী প্রমুখ।
এবিষয়ে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।