1. live@somoytvbangla.com : সময় টিভি বাংলা : সময় টিভি বাংলা
  2. info@www.somoytvbangla.com : সময় টিভি বাংলা :
রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কোম্পানীগঞ্জ কোছাক এর কমিটি গঠন ধর্মপাশা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: সভাপতি সেলিম আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক শাকিন শাহ উপমহাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তি দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী’কে এসইউজে’র পক্ষ থেকে সম্মাননা স্বারক প্রদান জৈন্তাপুরে বিজিবির অভিযানে ১৯ টি ভারতীয় গরু-মহিষ আটক কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর মতবিনিময় সভা দোয়ারাবাজারে প্রশাসনের জব্দকৃত ৯০ গরু গায়েবকারী  সমবায় সমিতির সভাপতি প্রার্থী! স্থানীয়দের ক্ষোভ প্রশাসন নীরব খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের সমর্থনে জালালবাদ ইউনিয়ন যুবদলের মতবিনিময় সভা নাচোলে স্টুডিও টেলিকম ও ফটোকপি ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় ও মাসিক সভা অনুষ্ঠিত গোয়াইনঘাটে তোয়াকুল ইউপি’র নামে ভুয়া রশিদে চাঁদাবাজি! দৈনিক লাখ টাকার বাণিজ্য নিজপাট ইউনিয়ন ছাত্রদলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফারহানকে ব্যাখ্যা দিতে নোটিশ

ফার্মেসী ব্যবসায়ী সুমনের তেলেসমাতি কারবার! ৪ হাজার টাকার ঔষধ ১৭ হাজার, যেন গলাকাটা দাম, প্রশাসন নীরব

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

হাসান জুলহাস:: সিলেট নগরীর ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোডের শতকরা ৭০ ভাগ ফার্মেসীতে রয়েছে দালাল চক্র। ওসমানী মেডিকেল কলেজের ভিতরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীর স্বজনদের কে মেনেজ করে ফার্মেসীতে নিয়ে আসে দালাল চক্র। প্রথমে তাদের ঔষধ পত্রের দাম কম রাখে এরপর শুরু হয় গলাকাটা।

এই চক্রের গডফাদার ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২য় গেইট সংলগ্ন হোটেল রজনীগন্ধার বিপরীতে সুনামগঞ্জ ফার্মেসীর মালিক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও হত্যা মামলার আসামি সুমন শিকদার। সে বিগত তিন যুগের অধিক সময় বাগবাড়ী নরশিংটিলা এলাকায় বসবাস করে আসছে। বিগত ২০১৫ সালের জুন মাসে এলাকার ভুমিখেকো মুহিব মাস্টার গংদের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে সুমন আহত হলে ও মুহিবুর রহমান আততায়ীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এতে সুমন শিকদার সহ কয়েকজন কে আসামি করে মামলা দায়েরের পর সুমন আটক হয়ে কারাবাস করে।

পরবর্তীতে সুমন শিকদারের পরিবার বাগবাড়ী ছেড়ে নবাব রোড এলাকায় ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস শুরু করে। সেখানে যাওয়ার পর হঠাৎ করে পাল্টে যায় সুমনের সবকিছু, শুরু করেন ঔষধের ব্যবসা। বর্তমানে আলাদিনের চেরাগের মতো একই জায়গায় সুমনের ভিন্ন ভিন্ন নামে বেশ কয়েকটি ফার্মেসী রয়েছে।

ওসমানী মেডিকেল কলেজের ভিতরে দালাল সিন্ডিকেট চক্রও সুমনের নিয়ন্ত্রণে। তাহার ফার্মেসীতে যে সকল দালাল কাজ করে তারা হলো – জালাল, সবুজ, সুমনের ম্যানেজার কামরুল, সায়েম, বাপ্পি, জহির,মাজহারুল, পান জালাল, বাবলু-২, লাভলু, লিটন,মানিকসহ ১০/১৫ জনের চিহ্নিত দালাল সিন্ডিকেট কাজ করে সুমনের ইশারায়। তার রয়েছে সিলেটের আলোচিত মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারী চক্রের মুল হোতা শহীদ ও পপির সাথে সখ্যতা। শহীদ ও পপির ছিনতাইয়ের একটি অংশ সুমনের নামে আসে বলে একটি বিশ্বস্থ সুত্র জানিয়েছে।

তার আত্নরক্ষার জন্য সিলেটের কয়েকজন টিভি সাংবাদিক, কথিত কিছু ফেসবুক লাইভার যারা নিজেকে কখনো সাংবাদিক কখনো ভুক্তা অধিকারের বড়কর্তা পরিচয় দিয়ে সুবিধা নিয়ে থাকেন। টিভি সাংবাদিকের সাথে সুমনের রয়েছে দহরমমহরম।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সুমন ওসমানী মেডিকেল কলেজের ভিতরে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ কে দালাল প্রতি ৩ শত টাকা এবং আনসার ইনচার্জকে দালাল প্রতি ২শত টাকা বখরা দিয়ে মেডিকেলের ভিতরের ওয়ার্ডে দালাল পাঠায়।

একদিকে ঔষধের অতিরিক্ত টাকা আদায় অপরদিকে সিলেটের শীর্ষ ছিনতাইকারী পপি সিন্ডিকেটের সাথে কাজ করে সুমন শিকদার বাগবাড়ী নরশিংটিলা এলাকায় জায়গা ক্রয়, ২ লক্ষ টাকার মোটর সাইকেল, ৭টি ফার্মেসী ও বাঁধন নামের একটি আবাসিক হোটেলের মালিক বনে যাওয়া, রাতারাতি জমি, আলীশান বাড়ী নির্মানসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হওয়া নিয়ে রয়েছে লোকমুখে নানান গুঞ্জন। তাহার পরিচালনাধীন বাঁধন আবাসিক হোটেলে চলে জমজমাট পতিতা ব্যবসা। যাহা ইতিমধ্যে তালাশ টেলিভিশন, সময় টিভি বাংলাসহ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ঔষধের গলাকাটা বিলের পাশা-পাশি, ওসমানী হাসপাতালের ঔষধ সুমনের ফার্মেসীর মাধ্যমে বিক্রি হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বস্থ একটি সুত্র জানিয়েছে।

বিগত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে ওসমানী মেডিকেল রোডের সুনামগঞ্জ ফার্মেসীতে ঔষধের অতিরিক্ত মুল্য আদায় নিয়ে সেখানে তথাকথিত ফেসবুক লাইভার মাছুম আহমদ, জালাল জয়, তুহিন আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম রাসেল, সহ ৩/৪ জন সেখানে যান। সেখান গিয়ে সরাসরি লাইভে ডুকে তাদের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কথা উপস্থাপন করেন। ফার্মেসী কতৃপক্ষ ও দায় স্বীকার করে বক্তব্যও দেয়।

এক পর্যায়ে ফার্মেসীর মালিকপক্ষ নিজের অপকর্ম ঢাকতে ও লাইভারদের সাথে ২৩ হাজার টাকা দিয়ে দফারফা করেন। যা সমগ্র সিলেটে ভাইরাল হয়।

এতোকিছুর পরও প্রশাসন সুনামগঞ্জ ফার্মেসীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে সচেমহল মনে করছেন সুচতুর ডেবিল সুমন বড় অংকের টাকার বিনিময়ে প্রশাসননকে ম্যানেজ করা হয়েছে।  যে কারণে সুমন তার গলাকাটা ব্যবসা প্রকাশ্যে দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে।

এবিষয়ে জানতে কয়েকবার সুমনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তাহার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট