
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:: জামালগঞ্জ উপজেলায় বৈধ ও কার্যকর সদস্য ছাড়াই দুটি পৃথক প্রেসক্লাব গঠনের ঘটনা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তি ও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক প্রেসক্লাবের অস্তিত্ব সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই উপজেলায় দুটি প্রেসক্লাবের কার্যক্রম সাধারণ জনগণের কাছে অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর হয়ে উঠেছে। কারা এসব প্রেসক্লাব পরিচালনা করছে, তাদের সদস্যপদ ও বৈধতা কী—তা স্পষ্ট নয়। ফলে প্রকৃত সাংবাদিকতা ও দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশনের বিষয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
এ পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে যখন দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী মহলের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। আসন্ন মহান বিজয় দিবসে জামালগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে প্রেসক্লাবের ব্যানারে উপজেলা আওয়ামী কৃষকলীগের সাবেক আহ্বায়ক আলী আমজদ, উপজেলা যুবলীগ নেতা মহসিন কবির, মুখোশধারী ব্যক্তি আব্দুর রব ও ব্যবসায়ী রিপন তালুকদারকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী দিতে দেখা যায়। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সুস্পষ্ট অবস্থান বা ব্যাখ্যা এখনও পাওয়া যায়নি এবং উপজেলা প্রশাসনের এক ধরনের মিশ্র ও রহস্যজনক নীরব প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, প্রশাসন ও রাজনৈতিক শক্তিগুলোর নীরবতা এই বিভ্রান্তিকে আরও উসকে দিচ্ছে। এতে জনমনে প্রশ্ন জাগছে—এই দ্বৈত প্রেসক্লাব সংস্কৃতি কি স্বাধীন সাংবাদিকতাকে নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাবিত করার কৌশল, নাকি অন্য কোনো স্বার্থসংশ্লিষ্ট পরিকল্পনার অংশ?
স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা মনে করছেন, প্রেসক্লাবের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, বৈধতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করা জরুরি। অন্যথায় এটি সাংবাদিকতার পবিত্রতা ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের স্পষ্ট বক্তব্য ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ এখন গ্রহণ করা সময়ের দাবি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।