
স্টাফ রিপোর্টার:: বহুল আলোচিত সমালোচিত সিলেট তামাবিল জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট সড়কের চোরাচালান সিন্ডিকেটের মুল হোতা একাধিক চোরাচালান মামলার এজাহার নামীয় আসামী নুরুল হাসান সোহাগকে অবশেষে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অন্তর্গত শাহপরান (রহ) থানা পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খাদিমনগর বিসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। বিগত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখের একটি চোরাচালান মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহপরান (রহ) থানার ওসি। সিলেট সদর উপজেলাধীন ৪নং খাদিমনপাড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত বংশিধর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে নুরুল হাসান সোহাগ, যদিও জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে সিলেট সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ন আহবায়ক (সদস্য সচিব) জুয়েল আহমদ বাহাদুরের আশির্বাদপুষ্ট হয়ে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন।
ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন বিশাল বাহিনী। তার বাহিনীতে বেশিরভাগ কর্মীই অতীতে ছাত্রলীগ যুবলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিল। প্রতি রাতে এদেরকে দিয়ে চলে বিশাল মোটরসাইকেল মহড়া। তার নেতৃত্বেই পাস করা হয় সকল চোরাচালানের পণ্যবাহী গাড়ি। তার নিজের মালামাল ব্যাতিত অন্য চোরাকারবারিদের গাড়ি থেকে তাকে দিতে হয় মোটা অংকের টাকা।
বাইপাস এবং শাহপরান গেইট এলাকায় তার রয়েছে পৃথক দুইটি বিশাল অফিস। অফিসগুলোতে টাঙ্গিয়ে রেখেছেন জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, জনাব তারেক রহমানের কয়েকটি বিশাল আকৃতির ছবি। জেলা স্বেচ্ছাসেবকদল তথা বিএনপির কিছুসংখ্যক নেতার সাথে গড়ে উঠেছে তার সখ্যতা, আর সেই সুবাদেই তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন তার এই চোরাচালান সিন্ডিকেট।