নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট মহানগরীর কানিশাইলে ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষিত কিশোরী বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি রয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে নগরীর কানিশাইল ১ নাম্বার রোডের সুবর কলোনির বাসিন্দা সুলতান মিয়ার পুত্র আবু বক্কর সকাল ০৭.০ ঘটিকার সময় পরিবারের অগোচরে বেড়ানোর কথা বলে কিশোরীকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে কিশোরীর মা-বাবা আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখোজি করে কোন সন্ধান না পেয়ে তারা ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে কোতোয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার জন্য বের হয়ে রিকাবীবাজার যাওয়ার পর তাদের মোবাইলে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসে। সেই ফোনে তাদেরকে জানানো হয় আমরা কুলাউড়া থানার পুলিশ বলছি আপনার কিশোরী মেয়ে তাসলিমা আক্তার একটি ছেলেসহ কুলাউড়া থানায় আছে আপনারা আসুন, তখন তারা জানতেচান ছেলের নাম কি তখন পুলিশ জানায় ছেলের নাম আবু বক্কর। এসময় কিশোরীর মা-বাবা থানায় না গিয়ে বাসায় ফিরে এসে পাশ্ববর্তী সুভর কলোনীর বাসিন্দা আবু বক্করের পিতা সুলতান মিয়াকে সাথে নিয়ে কুলাউড়া থানায় গিয়ে হাজির হোন। কুলাউড়া থানা পুলিশ জানায় এই কিশোরী মেয়ে ও ছেলেকে সাধারন মানুষ আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ উদ্ধার করেছে। তাদের সাথে কথা বলে বুঝেছি একজন আরেকজনকে ভালোবাসে, তাদের বয়স কম আপনারা দুই পরিবার একত্রিত হয়ে ছেলে- মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে সামাজিক ভাবে আপুসে নিষ্পত্তি করবেন বলে দুজনকে পরিবারের কাছে সমজিয়ে দেয়।দুটি পরিবারই বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন।
১ মার্চ সকালে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে দুই পরিবার সিলেটে ফিরে আসে। এরপর ২ মাচ বিকালে কিশোরীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। মেডিকেল সুত্রে জানা যায় কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিশোরী তাসলিমা আক্তার(১৩) নগরীর কানিসাইল ০১ নম্বর রোডের মঞ্জু মিয়ার কলোনির বাসিন্দা আব্দুল মমিন এর কন্যা। তাদের মূলবাড়ী সিলেটের ওসমানীনগর থানাধীন দক্ষিণ কোলারাই গ্রামে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।