1. live@somoytvbangla.com : সময় টিভি বাংলা : সময় টিভি বাংলা
  2. info@www.somoytvbangla.com : সময় টিভি বাংলা :
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ছিনতাই নয় আত্মসাতের নাটক! শ্রীমঙ্গলে বিকাশের ২ লাখ ২১ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার ২ জন। মরহুমা হাজী আফতারা বিবি চৌধুরী ট্রাষ্টের ঈদুল আজহা উপলক্ষে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ হাজার বছরের ভালবাসার গল্প…হুমায়ুন কবির দৈনিক ইনকিলাব এর ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অবৈধ ও অসাংবিধানিক দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূসের লন্ডন আগমনের প্রতিবাদে ও আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে আলতাব আলী পার্কে যুক্তরাজ্য কৃষক লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ফটিকছড়িতে ভাতাভোগী আনসার কমান্ডার,দলনেতা,দলনেত্রীদের মাঝে ঈদুল আজহার উপহার সামগ্রী বিতরণ ওসমানীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মৃত্যুতে ওসমানীনগর প্রেসক্লাবের শোক ডেভিল শামীমকে পুর্নবাসনে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা : সিলেট ও যুক্তরাজ্য বিএনপির ক্ষোভ সিলেটে চোরাই চিনি কান্ডে আটককৃতরা জামিনে বের হয়ে এখন আরো বেপরোয়া ডাঃ রাতুল প্রসাদ দত্তের সহিত ডাঃ মহিমা দাশ গুপ্তের শুভ পরিণয়ে বাগীশিক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সংসদের শুভেচ্ছা

ফলোআপ নগরীর কানিশাইল থেকে অপহরণ ও ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ মামলায় ১ নং আসামী কারাগারে

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট মহানগরীর কানিশাইলে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৩ বছরের কিশোরীকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে আত্মীয়র বাড়ীতে নিয়ে ধর্ষণ করে আবুবক্কর নামের এক বখাটে। এরপর জুড়ী থানা পুলিশ পাবলিকের সহযোগিতায় ২৮ ফেব্রুয়ারি ধর্ষিত কিশোরীকে উদ্ধার করে ছেলে- মেয়ের পরিবারকে খবর দিয়ে থানায় নিয়ে উভয়কে সমজিয়ে দেয়। এর পর মেয়ের পরিবার গত ৩ মার্চ মেয়েকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করলে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে গত ৬ মার্চ মেয়ের বাবা আব্দুল মমিন বাদী হয়ে (১) মো: আবু বক্কর(১৫), পিতা- মো: সুলতান মিয়া, সাং-কানিশাইল ১ নং রোড(ভাড়ারিয়া) এবং (২) সবুজ আহমদ(১৬), পিতা-কাজল মিয়া, সাং-কানিশাইল ১ নং রোড(ভাড়ারিয়া) উভয় থানা- কোতোয়ালি, জেলা- সিলেট কে বিবাদী করে সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় ২০০০ সালের ৭/৯(১)/৩০ ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধিত ২০০৩ এর ফুসলিয়ে অপহরণ, ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও সহায়তার অপরাধে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৮/১৩১ তারিখ ০৭/০৩/২০২৫ইং।

এরপর ৭ মার্চ কোতোয়ালী থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে  তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এস আই রুপককে। তিনি দায়িত্ব পেয়ে তদন্তে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলেও আসামী ধরতে বাদী আব্দুল মমিনের (রিক্সা চালক) মা ও ধর্ষিতার দাদীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রুপক। ধর্ষিতার দাদী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তদন্ত কর্মকর্তা দীর্ঘ এক মাসের মধ্যে বিবাদীদের গ্রেফতার করতে কোন অভিযান পরিচালনা করেননি। এরই মধ্যে স্থানীয়ভাবে প্রকাশপায় আসামীদের আটক না করতে বিবাদীরা তদন্ত কর্মকর্তাকে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে নিয়েছে।

দীর্ঘ একমাস পর ৮ এপ্রিল মামলার ১ নাম্বার আসামী ধর্ষক আবু বক্কর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়া তাদের সহযোগী রনি নামের আরেকজনকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানা পুলিশ আটক করেছে বলে জানাযায়। তবে ২ নং বিবাদী সবুজকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।

টাকায় ম্যানেজ হওয়ার  বিষয়টি খোলাসা করতে মুঠোফোনে এস আই রুপকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সময় টিভি বাংলাকে বলেন সোর্স লাগানো আছে, আসামী পলাতক রয়েছে দেখা মাত্র আমরা খবর পাবো। বিবাদীদের সাথে লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অশ্বীকার করেন। বাদীর মায়ের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন ডাহা মিথ্যা কথা। আমি কেন টাকা চাইবো।

উল্লেখ্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে নগরীর কানিশাইল ১ নাম্বার রোডের সুবর কলোনির বাসিন্দা সুলতান মিয়ার পুত্র আবু বক্কর সকাল ০৭.০ ঘটিকার সময় পরিবারের অগোচরে বেড়ানোর কথা বলে তাসলিমা আক্তার নামে এক কিশোরীকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়।

এদিকে কিশোরীর মা-বাবা আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখোজি করে কোন সন্ধান না পেয়ে তারা ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে কোতোয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার জন্য বের হয়ে রিকাবীবাজার যাওয়ার পর তাদের মোবাইলে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসে। সেই ফোনে তাদেরকে জানানো হয় আমরা জুরী থানার পুলিশ বলছি আপনার কিশোরী মেয়ে তাসলিমা আক্তার একটি ছেলেসহ জুড়ী থানায় আছে আপনারা আসুন, তখন তারা জানতেচান ছেলের নাম কি তখন পুলিশ জানায় ছেলের নাম আবু বক্কর। এসময় কিশোরীর মা-বাবা থানায় না গিয়ে বাসায় ফিরে এসে জুড়ী থানায় গিয়ে হাজির হোন। জুড়ী থানা পুলিশ জানায় এই কিশোরী মেয়ে ও ছেলেকে সাধারন মানুষ আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ উদ্ধার করেছে।

১ মার্চ সকালে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে দুই পরিবার সিলেটে ফিরে আসে। এরপর ৩ মার্চ বিকালে কিশোরীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। মেডিকেল সুত্রে জানা যায় কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

কিশোরী তাসলিমা আক্তার(১৩) নগরীর কানিশাইল ০১ নম্বর রোডের মঞ্জু মিয়ার কলোনির বাসিন্দা আব্দুল মমিন এর কন্যা। তাদের মূলবাড়ী সিলেটের ওসমানীনগর থানাধীন দক্ষিণ কোলারাই গ্রামে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট