1. live@somoytvbangla.com : সময় টিভি বাংলা : সময় টিভি বাংলা
  2. info@www.somoytvbangla.com : সময় টিভি বাংলা :
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ছিনতাই নয় আত্মসাতের নাটক! শ্রীমঙ্গলে বিকাশের ২ লাখ ২১ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার ২ জন। মরহুমা হাজী আফতারা বিবি চৌধুরী ট্রাষ্টের ঈদুল আজহা উপলক্ষে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ হাজার বছরের ভালবাসার গল্প…হুমায়ুন কবির দৈনিক ইনকিলাব এর ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অবৈধ ও অসাংবিধানিক দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূসের লন্ডন আগমনের প্রতিবাদে ও আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে আলতাব আলী পার্কে যুক্তরাজ্য কৃষক লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ফটিকছড়িতে ভাতাভোগী আনসার কমান্ডার,দলনেতা,দলনেত্রীদের মাঝে ঈদুল আজহার উপহার সামগ্রী বিতরণ ওসমানীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মৃত্যুতে ওসমানীনগর প্রেসক্লাবের শোক ডেভিল শামীমকে পুর্নবাসনে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা : সিলেট ও যুক্তরাজ্য বিএনপির ক্ষোভ সিলেটে চোরাই চিনি কান্ডে আটককৃতরা জামিনে বের হয়ে এখন আরো বেপরোয়া ডাঃ রাতুল প্রসাদ দত্তের সহিত ডাঃ মহিমা দাশ গুপ্তের শুভ পরিণয়ে বাগীশিক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সংসদের শুভেচ্ছা

কুখ্যাত ডেভিল এককালের শীর্ষ ছিনতাইকারী পাঠা মবশ্বিরের দখল থেকে বাদ যায়নি হাসপাতাল

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিগত ৯৬ -২০০১ আওয়ামীলীগ শাসনামল। সিলেট শহরে দাপিয়ে বেড়ায় তাদের ছাত্র সংগঠনের দুর্ধর্ষ ক্যাডাররা। শহরে রাজত্ব করে বেশ কয়েকটি গ্রূপ। এরমধ্যে নাসির গ্রূপ নামে খ্যাত গ্রূপটির অবস্থান নগরীর তেলি হাওর এলাকায়। এই গ্রূপেরই সদস্য ছাত্রলীগ ক্যাডার মবশ্বির তখন এই শহরের আতংক হয়ে উঠে। তার মূল বাড়ি বিশ্বনাথে। পিতা মৃত আশরাফ আলী। দিনে দিনে সে দুর্ধর্ষ অপরাধীর দিকে ধাবিত হয়। তার মূল পেশা ছিল ছিনতাই। শহরজুড়ে ভয়ংকর ছিনতাই নেটওয়ার্ক তৈরী করে সে। বিশেষ করে এয়ারপোর্ট রোডে বিদেশগামী যাত্রীদের কাছে মূর্তিমান এক আতঙ্কের নাম পাঠা মবশ্বির। শরীর গায়ে গতরে বিশালদেহী হওয়ায় তাকে সবাই পাঠা মবশ্বির বলে ডাকতো। বিমানবন্দর সড়কে প্রায়ই যাত্রীদের লাগেজ , ব্যাগ ছিনতাই করতো সে।

মোবাশ্বিরের নেতৃত্বে একটি আন্তঃজেলা ডাকাতদল তৈরী হয়। ১৯৯৮ সালে সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জ রোডের নির্জন পারাইরচক ৩০টির মতো ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। সে সময়ের আন্তঃজেলা ডাকাতদলের নেতা মবশ্বির এই ডাকাতিতে নেতৃত্ব দিয়ে পুরো সিলেটে আলোচিত হয়।

১৯৯৯ সালে তৎকালীন সরকারীদল সিলেট আওয়ামীলীগকে ছিনতাইকারী মোবাশ্বির এর মতো ছিচকেদের সামলাতেই ঘাম ছুটে যায়, এবং এদের কারণেই ২০০১ এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে ভোট দেয়নি জনগণ। তারপর ২০০১-০৬ জোট সরকারের সময় সে এলাকাছাড়া হয় । পালিয়ে যায়, ২০০৮ এ আবার লীগ ক্ষমতায় আসলে ছিনতাইকারী মোবাশ্বিররা যেন হাতে আসমান পায় । তার নেতৃত্বে নগরীতে শুরু হয় দখলের মহোৎসব। চৌহাট্টা সদর হাসপাতালের জায়গায় জোর করে ন্যায্যমূল্যের ফার্মেসী বানিয়ে ফেলা হয়। লীজের নাম করে শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিনামূল্যের নামকাওয়াস্তে ভাড়ায় এই ফার্মেসি শহরের অন্যান্য ফার্মেসী ব্যবসার স্বাভাবিক ব্যবসা বিনষ্ট করে।

সদর হাসপাতাল ও ওসমানী হাসপাতালের বিনামূল্যের ঔষধ মেডিকেল সরঞ্জামাদি এই ফার্মেসিতে রাখা হতো। ধীরে ধীরে হাসিনা যখন ডেভিল স্বৈরাচারী রূপে আবির্ভুত হওয়া শুরু করলো। লন্ডন থেকে উড়ে এসে বিনা ভোটে মেয়র হলেন আনোয়ারুজ্জামান। কদিন আনোয়ারের নির্বাচনে খেটে মবশ্বির যেন আরও বেপরোয়া। সিটি কর্পোরেশন থেকে শুরু করে সর্বত্র তার হুমকি ধামকি ভয়ভীতি চাঁদাবাজি চলতে থাকে। সিটির কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে এমন ভাষায় কথা বলতো মনে হতো সে যেন নিজে মেয়র। টাকার বিনিময়ে টেন্ডার দালালি , টাকার বিনিময়ে মানুষের কাজকর্ম নিয়ে সিটি কর্তাদের চাপ দিতো। আনোয়ারের প্রভাব খাটাতো।

আনোয়ার এর সাথে ঘনিষ্টতার কারণে নগরজুড়ে দখলবাজিতে নেমে পরে। সবচেয়ে আলোচিত হয় আস্ত একটি ক্লিনিক দখল। নগরীর নবাব রোডের নিরাময় ক্লিনিকটি দখল করে ফেলে সুকৌশলে।

এদিকে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় , নবাব রোড। বিদেশ বসে এখনো এসব থেকে ভাড়া তুলছে সে।
এছাড়া জুলাই আগস্টে সিলেটের নিরীহ ছাত্রজনতার উপর অত্যাধুনিক বন্দুক দিয়ে গুলি চালায় সে। এই সময়টায় কসাইয়ের ভূমিকায় নামে মবশ্বির। তার বাহিনীকে ছাত্র জনতার উপর লেলিয়ে দেয়। নানা অপরাধে সম্পৃক্ত শীর্ষ ডেভিল সন্ত্রাসী মবশ্বিরকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে ছাত্র জনতা।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় , নিরাময় ক্লিনিকের জায়গা ও ভবনের মূল মালিক আব্দুল্লাহ আসাদ আল হাফিজ। তিনি সিলেটের সনামধন্য ডাক্তার খালিক সাহেবকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এটি ভাড়া দেন। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পর হঠাৎ লোকবল নিয়ে এটি দখল করে মবশ্বির ও তার বাহিনী। কোন সময় ভাড়া দিতো। বেশিরভাগ মাসেই ভাড়া দিতো না। এ নিয়ে প্রয়াত হাফিজ সাহেবের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি উচ্ছেদ মামলা করা হয় ২০১৯ সালে। যে উচ্ছেদ মামলায় যুবলীগ ক্যাডার মবশ্বিরকে ৫ নং আসামি করা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ৫ আগস্ট এর আগেই মবশ্বির দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।

নিরাময় ক্লিনিকের ভূমি মালিকদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় – যুবলীগ ক্যাডার মবশ্বির আমাদের জায়গা ও ভবন প্রভাব খাটিয়ে দখল করে রেখেছে। তার হুমকি ধামকিতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছি। আমাদের মামলা চলমান আছে। আশা করি আদালতের ন্যায্য বিচার আমরা পাব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট