বিশ্বনাথ সংবাদদাত:: সিলেটের বিশ্বনাথে এক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাহাড় সমান ২১ অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে সিলেটের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। তিনি হচ্ছেন পৌর শহরের ঐত্যিহবাহী হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খাইরুল আনি ফকির।
তার অনৈতিক কর্মকান্ড, কোনো ক্লাস না নেয়া, কলেজ শাখায় ইংরেজী ক্লাস হয়না, অন্যান্য শিক্ষকদেরে সাথে আলোচনা না করে রেজুলেশন করে স্বাক্ষরের জন্য চাপ দেয়া, অ্যাডহক কমিটির জন্য অভিভাবক মিটিং না করা, অন্যদের ক্লাসে পাঠিয়ে নিজের পছন্দের দু’একজনকে নিয়ে গল্প করা, ছাত্রীদের সব সময় তার রুমে নিয়ে আলাপ করা, চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ে ফরম পুরন করার পরেও বিলম্ব ফি আদায়, ব্যাংকে টাকা না রেখে খরচ করা, হিসাবে কোনো স্বচ্ছতা প্রদর্শন না করা, অন্য শিক্ষকরা এসব জানতে চাইলে ছাত্রীদের দিয়ে লাঞ্চিত করা ও হিন্দু মুসলিদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করাসহ এমন ২১টি পাহাড় সমান অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এমন অভিযোগ এনে সিলেটের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রায় ১৯ জন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এই লিখিত অভিযোগ তারা দেন। তাদের এই লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য লিখিতভাবে জানিয়েছে শিক্ষাবোর্ড।
এর পূর্বে গত ৫ ফেব্রুয়ারি অভিভাবক সমাবেশে আমন্ত্রন করে একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল হামিদ ও অভিভাবকরা যথা সময়ে উপস্থিত হন। কিন্তু সভায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের প্ররোচনায় কিছু সংখ্যাক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে সভায় উশৃঙ্খলতা সৃষ্টি করানো হয়। এসময় ক্লাস চলাকালিন সময়ে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করে অভিভাবকগণকে ’ভূয়া ভূয়া’ স্লোগানের মাধ্যমে লাঞ্চিত ও অপমানিত করান ওই শিক্ষক।
এঘটনায়ও ওই দিন’ই ১৯ জন অভিভাবক ও শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্থার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনন্দা রায় বলেন, শিক্ষা বোর্ডের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমার কাছে তদন্তের জন্য দেয়া হয়েছে। অ্যাডহক কমিটি গঠনের পর আমি তদন্ত করে শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দাখিল করবো।
জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খাইরুল আমিন ফকির বলেন, আমার বিরুদ্ধে কি কি অভিযোগ আনা হয়েছে আমার জানা নেই বলে আমি বক্তব্য দিতে পারছিনা। তবে তার কাছে উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি চিঠি এসেছে বলে জানান।