স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার টুকেরগাঁও গ্রামের শাইমা বেগম (২৯) নামীয় এক স্বামী পরিতক্তা নারীকে বিয়ের আশ্বাসের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিকভাবে সম্পর্ক স্থাপন করে আপন তালতো ভাই হাবিবুর রহমান। ঘটনা সুত্রে

জানা যায় টুকেরগাঁও গ্রামের ইয়াকুব আলীর মেয়ে শাইমা বেগমের আগে ও আরেকটি বিয়ে হয়। প্রায় চারটি বছর সংসার করে বনিবনা না হওয়ায় তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রথম স্বামীর সাথে সম্পর্কের ইতি ও ঘটে। এতে শাইমা বেগম তাহার পিতার বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। তার সুবাদে আপন তালতো ভাই নয়াগাঙ্গেরপাড় গ্রামের ছানা উল্লাহর পুত্র হাবিবুর রহমান (৩০) শাইমার ভাই লালন মিয়ার সাথে হাবিবুর রহমানের বোন আয়েশা বেগম কে বিয়ে দেওয়ার সুবাদে প্রায়ই বোনের বাসায় আসা যাওয়া করতো বলে জানান শাইমার পরিবার।
এদিকে বোন আয়েশার সহযোগিতায় গভীর প্রেমের ফাঁদ ফেলে। শাইমাকে বিয়ের প্রলোভন ও তাহার আগের স্বামীর দেওয়া দেনমোহর এর ৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ। ও বিয়ের প্রলোভনের আশ্বাস দিয়ে অবৈধভাবে প্রেমে তার সাথে এমন শারীরিক অনৈতিক সম্পর্কে গড়ে তুলেন তালতো ভাই হাবিবুর রহমান, বড় বোন আয়েশার কাছে থাকা শাইমার নগদ তিন লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর লক্ষ্যে পাথরের ব্যবসা করার কথা বলে।বোন আয়েশার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে যায়। এদিকে শাইমা বেগম হাবিবুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করিলে।তখন হাবিবুর রহমানের পরিবারের সকলে মারধর করে এবং গলাটিপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়। গত ২১-০৬-২০২৫ তারিখে বিকাল ৪: টার ঘটনায় শাইমা বেগম (২৯) বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিম্নোক্ত হাবিবুর রহমান (৩০) লুৎফর রহমান (২৪) উভয় পিতা ছানাউল্লাহ, ছানাউল্লাহ পিতা অজ্ঞাত খোদেজা(৫০) আয়েশা বেগম(২৮) সহ ৫ জনকে বিবাদী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নির্যাতিত স্বামী পরিতক্তা আরো জানান, আমার তিন লক্ষ টাকা মোবাইল ফোনে রেকর্ডকৃত মেমোরি কার্ড কেড়ে নিয়ে যায়।শাইমা বেগম দুদিন নিখোঁজ কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে পরিবারের দাবি বহু খোঁজাখুঁজির পর তার সন্ধান মিলে রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে অজ্ঞান অবস্থায় বিয়ে করার আশ্বাসকৃত প্রেমিক হাবিবুর রহমান তাঁকে সেখানে রেখে চলে আসেন।পরে জ্ঞান ফিরলে শাইমার তাহার বাড়িতে ফোন দিয়ে বিস্তারিত ঘটনা খুলে জানায়।পরে নিকট আত্মীয় থাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। ১০-৭-২০২৫ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার শাইমা বেগম জানতে পারেন হাবিবুর রহমান নতুন বিয়ের পিরিতে বসছেন এই খবর শুনে আবারোও হাবিবুর রহমানের বাড়িতে শাইমা গিয়ে বিয়ে করার কথা বললে হাবিবুর রহমান তাকে বিষের বোতল মুখে ঢুকিয়ে প্রাণনাশের চেষ্টা করে। অবস্থা জটিল হওয়ায় শাইমা,হাবিবুর রহমানের ফুফাতো ভাই ছফু মিয়া (৩০) খালাতো বোন মুন্নি বেগম (২৮) দুজনে মিলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শাইমা কে ফেলে চলে যান। পরিবারের লোকজন সিলেটে নুরজাহান মেডিকেলে ভর্তি করেন।তার অবস্থা বেগতিক হওয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বলে শাইমার পরিবার জানায়। উক্ত বিষয়ে তাহার মা নেহারা বেগম(৫০) বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানা ডিউটি অফিসার এ এসআই গোলাম নবী, এব্যপারে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানান।