1. live@somoytvbangla.com : সময় টিভি বাংলা : সময় টিভি বাংলা
  2. info@www.somoytvbangla.com : সময় টিভি বাংলা :
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউ’কের নর্থ রিজিওনাল কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন। সিলেটের জুয়ার রাজ্যে বেপরোয়া সাইফুলগংরা জুয়ারীদের কালো থাবায় তছনছ সাধারণ মানুষ, বখরা নেওয়ার অভিযোগ পুলিশ,ডিবি ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জামালগঞ্জে ব্যারিস্টার লিটনের জনসভায় মানুষের ঢল, ৩১ দফা বাস্তবায়নে জোরালো আহ্বান চট্টগ্রামস্থ ফেনী জেলা আইনজীবী কল্যাণ পর্ষদ প্রাক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ আরিফ আল মাহফুজের জন্মদিনে ‘সুপার সিক্সটি’র উচ্ছ্বাস ধলই সফিউল বারী দরবার শরীফে ফাতেহায়ে ইয়াজদহম, মাসিক আলোচনা ও ফাতেহা শরীফ সম্পন্ন, নাচোলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সহোদর ২ ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া হযরত বাবা ভাণ্ডারী কেবলা কাবা (ক.)’র ২৯ আশ্বিন পবিত্র খোশরোজ শরীফ সম্পন্ন

সিলেট-তামাবিল ফোরলেন প্রকল্পে অধিগ্রহণের নামে সিসিডিবি’র তেলেসমাতি কারবার কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা(২য় পর্ব)

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট-তামাবিল ফোরলেন প্রকল্পে অধিগ্রহণের নামে সিসিডিবি’র তেলেসমাতি কারবার চলছে। জমির শ্রেণি ও ভবনের ফাউন্ডেশন পরিবর্তন করে এবং মাপে বৃদ্ধি দেখিয়ে বেশী টাকা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে সিসিডিবি’র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট ৬ লেন ও সিলেট-তামাবিল ৪ লেন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণ ও প্রকল্পের ডিজিটাল নকশা, জমির পর্চা ও জমির মালিকের সঠিক তথ্য সংগ্রহের কাজ পায় বেসরকারি সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ফর ডেভলাপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি)। সেই হিসেবে তারা তাদের
কার্যক্রম শুরু করে এই মেঘা প্রকল্পে। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে সিলেটের লালাবাজার পর্যন্ত অধিগ্রহণ প্রকল্পের ডিজিটাল নকশা প্রস্তুতের কাজ শেষে প্রকৃত ভূমিদাতাদের সিংহভাগ তালিকা প্রস্তুত করে বুঝিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু সিলেট-তামাবিল অংশের ৪ লেন প্রকল্পে অধিগ্রহণ ও প্রকল্পের ডিজিটাল নকশা প্রস্তুতের সময় জমির ম্যাপ, পর্চা, মালিকানার তথ্য সংগ্রহ শেষে দেখা যায় সিসিডিবি’র টিম লিডার আতিকুল ইসলাম এর প্রভাব খাটিয়ে, তাহার শ্যালক সিলেট- তামাবিল অংশের ম্যানেজার ফজলে রাব্বি, ঠিকাদার পরিচয়দানকারী বহিরাগত স্বপন সরকার, সানোয়ার ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অসাধু কর্মকর্তা কানঙ্গ শ্রীপদক এর সাথে হাত মিলিয়ে নিজেদের ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে যেসব লোকের জমি ফোরলেন সড়কে সংযুক্ত হয়েছে, সেই সব জমি, বাসা বাড়ী, ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক সহজ সরল নিরীহ মানুষকে বোকা বানিয়ে যোগসাজসে নির্দিষ্ট পরিমান টাকার মিনিময়ে ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে চুক্তি করছে। ঐসব চুক্তিতে উল্লেখ আছে চুক্তির পরিমানের বেশী হলে অবশিষ্ট টাকা তাদেরকে ফেরত দিতে বাধ্য থাকিবেন। এভাবে কমিশন বাণিজ্যের চুক্তি করে জমির ধরণ ও ভবনের ফাউন্ডেশন পরিবর্তন করে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মহোৎসব চলছে। এই রাব্বি গংদের সাথে চুক্তি না করলে ঐ সমস্ত গ্রাহকদের ঝুলিয়ে রাখা হয়। ফলে নিদিষ্ট সময়ে কাজ সম্পন্ন হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

স্বপন সরকার এই প্রকল্পের কোন দায়িত্বে না থাকলেও গাজীপুরের এই বহিরাগত ব্যক্তিকে টিকাদার বানিয়ে জমি,দোকান ও ভবন মালিকদের সাথে ক্ষতিপুরণের টাকা পাইয়ে দিতে চুক্তি করা হচ্ছে। এরকম গোপন চুক্তির কয়েকটি ভিডিও এখন প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। এই অবৈধ কাজের মূলে রয়েছে ম্যানেজার ফজলে রাব্বি। তিনি টিম লিডার দুলাভাইয়ের সহযোগিতায় এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ম করে রেখেছে।

এসব অপকর্মের কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মহাসড়কের কাজ সম্পন্ন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে জনমনে। অনেকে মনে করছেন, মহাসড়ক উন্নয়ন কাজে সংশ্লিষ্টদের সাথে উপজেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তা যুক্ত থাকলে তাদের মাঠ পর্যায়ে কাজের দক্ষতায় উন্নয়ন কাজ আরো টেকসই হতো।

এ ব্যপারে সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন সিসিডিবি’র কাজ হচ্ছে ডিজিটাল নকশা, জমির পর্চা ও প্রকৃত মালিকের তথ্য সংগ্রহ করা। টাকা পাইয়ে দেওয়ার কোন চুক্তি তারা করতে পারেনা। যদি করে তাহলে সেটা অবৈধ। তিনি আরো বলেন নারায়নগঞ্জ থেকে তামাবিল পর্যন্ত প্রায় ৪০হাজার কাঠা জমি অধিগ্রহণ করার কাজ চলছে। যদি এরকম অনৈতিক মুনাফা কেউ করতে চায় তাহলে সাথে সাথে পুলিশ৷ ডেকে ওদের ধরিয়ে দিম।

চুক্তির বিষয়টি নিয়ে সিসিডিবির টিম লিডার আতিকুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন সবাই টাকা পেলেও আলাউদ্দিন টাকা পাবেনা? প্রশ্ন হচ্ছে অধিগ্রহণের টাকা দেওয়ার মালিক জেলা প্রশাসক তাহলে সিসিডিবি’র আতিকুল ইসলাম এই কথা কিভাবে বলতে পারেন সেই প্রশ্ন জনমনে।

চুক্তির বিষয়টি নিয়ে সিসিডিবির সিলেট-তামাবিল অংশের ম্যানেজার ফজলে রাব্বীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন আমি আমার অসুস্থ বাবাকে দেখতে বাড়ীতে যাচ্ছি। বাড়ী থেকে ফিরে কথা বলবো বলে তিনি তাদের আরো দুজন কর্মকর্তার নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন।

চুক্তির বিষয়টি নিয়ে কানঙ্গের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন আমি এব্যপারে কিছু জানিনা। আর টাকার বিষয়টি জেলা প্রশাসক দেওয়ার মালিক আর কেউনা। অপরাধীদের সাথে তাহার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অশ্বীকার করেন। অথচ ভিডিও ফুটেজে দেখাযায় তিনি অপরাধীদের সাথে বিভিন্ন স্থানে মতবিনিময় ও গ্রাহকদের সাথে কথা বলছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট