নিজস্ব প্রতিবেদক:- গত ২০শে সেপ্টেম্বর কিছু দুষ্ট প্রকৃতির লোক ভুলবাল তথ্য দিয়ে ফটিকছড়ির অনলাইন ভিত্তিক কিছু সংবাদ মাধ্যমকে দিয়ে প্রতিবছরই ধর্মপুর মুন্দার বাড়িতে ভাতৃত্ব ভাড়ায় যে আয়োজন” শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ফটিকছড়ি উপজেলার ১৮ নং ধর্মপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদ সম্পর্কে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
প্রতিবেদনে উক্ত মসজিদের নাম পরিবর্তন করে “মুন্দার বাড়ি জামে মসজিদ” হিসেবে প্রচার করা হয়েছে, যা বাস্তবতার সঙ্গে সম্পূর্ণ অসঙ্গত ও বিভ্রান্তিকর।প্রায় তিন শতাধিক বছরের পুরনো এই হাছন আলী দারগা জামে মসজিদ ফটিকছড়ির ১৮ নং ধর্মপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ধর্মীয়, সামাজিক ও ঐতিহ্যের প্রতীক। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে এখানে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমা ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান আদায় করে আসছেন।মরহুম হাছন আলী চৌধুরী (দারগা) সমাজের ধর্মীয় উন্নতির স্বার্থে প্রায় ৪২ শতক জমি এই মসজিদ ও তার সংলগ্ন স্থানের জন্য দান করেছিলেন – যার উদ্দেশ্য ছিল সমাজবাসীর নিয়মিত ইবাদত-বন্দেগি ও নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, “যে সমাজে গুণীজনের কদর নেই, সে সমাজে গুণীজন জন্মায় না। ইতিহাস বিকৃতকারীরা ইতিহাসের পৃষ্ঠায় টিকতে পারে না।” তারা বলেন, আল্লাহর পবিত্র ঘর হাছন আলী দারগা জামে মসজিদের নাম বিকৃতি করে অন্য নামে প্রচার করা একটি নিন্দনীয় প্রচেষ্টা।তারা আরও বলেন, “যেভাবে ইহুদি ও মুনাফিকরা মসজিদুল আকসা-র নাম পরিবর্তন করে টেম্পল মাউন্ট করার চেষ্টা করছে, ঠিক তেমনি কিছু উদ্দেশ্য প্রণোদিত ব্যক্তি মিথ্যাচার ও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে আমাদের মসজিদের নাম পরিবর্তনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”এ কারণে মাননীয় ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও
মাননীয় এসি ল্যান্ড জনাব মো: নজরুল ইসলাম মহোদয়ও দুইবার শুনানী সম্পন্ন করে ও মসজিদের নাম যে হাছন আলী দারোগা জামে মসজিদ তার সত্যতা বা অবস্থানের স্বীকৃতি প্রদান করেন। মাননীয় ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরাসরি মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করেন। তিনি নিজে মসজিদের বর্তমান ইমাম সাহেব জনাব আখতার হোসেনের সাথে কথা বলেন এবং মসজিদের নামের সত্যতা যাচাই এর জন্য তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন এবং তার বক্তব্য রেকর্ড করেন।এছাড়া ১৮ নং ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাবা নাছিমা বেগম ও হাছন আলী দারগা জামে মসজিদের নামে স্বীকৃতি দিয়ে প্রত্যয়ন প্রদান করেন।এলাকাবাসী এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা ঝগড়ায় বিশ্বাসী নই, আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। তবে মসজিদের ইতিহাস বিকৃতি মেনে নেওয়া হবে না। ইতিহাসকে বিকৃত না করে, ইতিহাসকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়ার জন্য আমরা সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”